সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সবচেয়ে বেশি চেষ্টা করে নারীরা। একজন নারী সব ক্ষেত্রে ছাড় দেন এমনটাই দেখা যায় প্রায় সবখানে। কিন্তু কী এমন কারণ থাকলে সেই নারীই বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তা কি আমরা জানি? আসুন কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করার আগে কারণগুলো জানার চেষ্টা করি।
তুলনা
প্রায় সব ক্ষেত্রেই নারীদের পরামর্শ দেওয়া হয়, বাবা বা অন্য পুরুষের সঙ্গে নিজের সঙ্গীর তুলনা না করতে। কিন্তু পুরুষদের মধ্যেও তার মা, বোন, বন্ধু বা যেকোনো নারীর সঙ্গে তুলনা করার প্রবণতা থাকলে, এটা সম্পর্কের ক্ষতিই করে।
সীমা
সহ্য ক্ষমতার একটা সীমা রয়েছে, অনেক সময় সঙ্গী এটা ভুলেই যান। ভাবেন যেভাবেই রাখা হবে বা যে ব্যবহারই করা হোক ভালোবাসার টানেই নারী তাকে ছেড়ে যাবে না। এই অতি-আস্থা এক সময় ভুল প্রমাণিত হয়।
অভিযোগ
নিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনতে কারোই ভালো লাগে না। কিন্তু পুরুষ সঙ্গীটি অনেক সময় এটা তোয়াক্কা করেন না। দেখা যায় ছোট ছোট বিষয়ে প্রতিদিনই অভিযোগ করতে থাকেন। এই অবস্থায় অনেক নারীই সম্পর্কে থেকে আর সুস্থভাবে শ্বাস নিতে পারেন না। ফলে দমবন্ধ অবস্থা থেকে বের হওয়ার পথ খোঁজেন।
স্বচ্ছতা না থাকা
সঙ্গীর চলাফেরা, কোথায় যাচ্ছে, কার সঙ্গে মিশছে এসব সঙ্গীর কাছে লুকানো। আর আয়, কাজের অবস্থা তার সঞ্চয় সব কিছুই যদি আড়াল করার মানসিকতা থাকে, তবে সে সম্পর্ক কী হবে!
অবহেলা
সম্পর্ক যখন বেশ কিছু দিন হয়ে যায়, তখন অনেকেই সঙ্গীকে নানাভাবে গুরুত্ব দেওয়া কমিয়ে দেন। আর প্রিয় মানুষের এই অবহেলা মেনে নিতে পারেন না অনেক নারীই।
একই রুটিন
আমাদের সমাজে সাধারণত নারীদের স্বপ্নে সুপার হিরো থাকে তার সঙ্গী। কিন্তু কাছে থেকে যখন দেখা যায়, আসলে সে খুবই সাধারণ। তার আচরণ, জীবন-যাপন সবই প্রায় একই রুটিনে চলে, এই একঘেয়ে জীবন মেনে নিতে পারেন না অনেকেই।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।