মাইন্ড রিডিং
২০১০ সালে বেন গুরিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন সাইকোলজিস্ট তাদের রিসার্চে দেখেছিলেন, আমাদের অনেক চিন্তার ভুলের মূলে রয়েছে একটি বেসিক জায়গা, এবং সেটি হল,
নিজেকে আমরা কীভাবে দেখি, এবং অন্যকে আমরা কীভাবে দেখি।
নিজেদের ক্ষেত্রে আমরা সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ডিটেইলস বিবেচনায় নেই। আপনি সুন্দর কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে সকালে ঘুম থেকে উঠলে আপনাকে কেমন লাগে, ঐ সময় আপনার চুল কেমন দেখায়, মন ভাল থাকলে কেমন লাগে ইত্যাদি নানা ডিটেইলসের উপর ভিত্তি করেই আমরা সিদ্ধান্তে যাই। কিন্তু অন্য লোকের ক্ষেত্রে আমরা জেনারালাইজ করে সিদ্ধান্ত নেই।
রাধারমণ ও কিছু বিভ্রান্তি নামের উপন্যাসের এক অধ্যায় শুরু হয়েছিল এভাবে, নিজেদের জীবন আমাদের কাছে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম তথ্যাদি সমন্বয়ে একটা আত্মজীবনীর মত, আর অন্যের জীবন হল ভাসা ভাসা উপন্যাস।
বেন গুরিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চার দ্বয়ের পেপারটির নাম ছিল, হাউ টু সিম টেলিপেথিকঃ এনাবলিং মাইন্ড রিডিং বাই ম্যাচিং কন্সট্রুয়াল।
দেখা গেছে কোন ব্যক্তিকে যদি বলা হয় তার ছবি এক মাস পরে অন্যরা ইভালুয়েট করবে, তখন সে নিজের ছবি সম্পর্কে তুলনামূলক বেটার জাজ করতে পারে। আপনি যদি নিজের ইমিডিয়েট ইম্প্রেশন থেকে নিজেকে সরাতে পারেন ও নিজেকে নিজের একটি লেখার মত ভাবতে পারেন যা সবার উদ্দেশ্যে খুলে রাখা হয়েছে, তখন নিজের ইমোশনাল বায়াস দ্বারা আক্রান্ত হবেন না নিজেকে জাজ করার ক্ষেত্রে।
আপনি যদি কোন এক সময়ে মন খারাপ অনুভব করেন, এতে কনফিডেন্স হারানোর কিছু নেই, কারণ অন্য লোকেরা রিসার্চ মতে, এত সূক্ষ্ম জিনিশ খেয়াল করবেই না।
অন্যদের আপনি ভাল বুঝতে পারবেন যদি তাদের সম্পর্কে আপনার অভারল ইম্প্রেশন বাদ দিয়ে তাদের মুড, স্ট্রেস পরিবর্তন, এপিয়ারেন্স পরিবর্তন ইত্যাদির দিকে নজর দেন। আমরা দেখে থাকি উপন্যাসের গোয়েন্দা চরিত্ররা এটাই করে থাকেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।