১.মাথা ঠাণ্ডা করার জন্য গ্রিন টি পান করে নিন
যখনই মনে হবে আপনি খুব বেশি অশান্তিতে রয়েছেন তখন সোজা রান্নাঘরে চলে যাবেন। ১ কাপ গরম পানিতে সুন্দর করে গ্রিন টি বানিয়ে নিয়ে ছোটো ছোটো চুমুকে পান করে নিন । দেখবেন কাপের গ্রিন টি শেষ হওয়ার সাথে সাথে উদ্বেগও কমে আসবে।
২.বেডরুম থেকে সকল প্রযুক্তিগত জিনিস সরিয়ে ফেলুন
টিভি, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার সব কিছু শোবারঘর থেকে সরিয়ে ফেলুন। এসব প্রযুক্তিগত জিনিসের প্রভাব আমাদের মানসিকতার ওপর পড়ে। যা আমাদের দুশ্চিন্তা, অশান্তি ও অস্বস্তি সময়ের মধ্যে কাজ করে।
৩.ইতিবাচক চিন্তা করার চেষ্টা করুন
মানসিক অস্বস্তি এবং অশান্তির মূল কারণ হচ্ছে নেতিবাচক মনোভাব। যত বেশি দুশ্চিন্তা করতে থাকবেন ততই মানসিক অশান্তি বাড়তে থাকবে। যদি আপনি একটি খারাপ অবস্থাকেও ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে পারেন তবে তা সমাধানের পদ্ধতিও আপনার মাথায় কাজ করবে। তাই তাৎক্ষণিকভাবে এই অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে নিজের চিন্তাধারায় কিছুটা পরিবর্তন আনুন।
৪.খুব ভালো কোনো বন্ধুর সাথে ৫ মিনিট কথা বলুন
মানসিক অশান্তি শুরু হলে কোনো কাজই ঠিক মতো করা যায় না। কিছু করতে ভালো লাগে না বা কোন কিছুতেই মন বসে না। তখন সব কিছু বাদ দিয়ে নিজের সব চাইতে ভালো বন্ধুকে ফোন দিয়ে দিন। কথা বলুন তার সাথে। মনের কথা শেয়ার করতে পারলে মানসিক স্বস্তি ফিরে পাবেন।
৫.চোখের সামনের সব হাবিজাবি জিনিস দূর করুন
যখন মন মেজাজ খারাপ থাকে এবং অশান্তি কাজ করে মনে তখন আরও বেশি খারাপ লাগা শুরু হয় নিজের চোখের সামনে অযথা ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেখলে। তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন। চোখের সামনে থেকে সব ধরণের হাবিজাবি জিনিস সরিয়ে ফেলুন।
৬.সুঘ্রাণের ব্যবস্থা করুন
মানসিক শান্তির জন্য সব চাইতে দ্রুত কাজ করে সুন্দর কোনো ঘ্রাণ। ঘরে তাজা ফুলের ব্যবস্থা রাখতে পারেন অথবা নিজের পছন্দের কোনো ঘ্রাণের এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করে ফেলুন। কিংবা কমলালেবুর ঘ্রাণের ব্যবস্থা করুন। দেখবেন খুব দ্রুত আপনার অস্বস্তি কেটে যাচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।