কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সারা দেশে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা (জিএপি) দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। কৃষিপণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের জন্য এই জিএপি মানতে হবে। এটি বিবেচনায় নিয়ে এ নীতিমালা বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার।

রোববার (৯ জানুয়ারি) অনলাইনে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা ২০২০ বাস্তবায়নে স্টিয়ারিং কমিটির ২য় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব মো: সায়েদুল ইসলাম।

মন্ত্রী কৃষি পণ্যের রপ্তানীর উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কর্মকর্তা, চাষি, রপ্তানিকারকসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদেরকে সম্পৃক্ত করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, যেসব এলাকা থেকে শাকসবজি ও ফলমূল রপ্তানির সম্ভাবনা বেশি, আপাতত সেসব এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জিএপি পাইলট বা পরীক্ষামূলকভাবে বাস্তবায়ন কাজ শুরু করতে হবে।

কৃষি সচিব বলেন, কৃষিকে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক করতে হলে কৃষিপণ্যকে রপ্তানিমুখী করতে হবে। এটি বিবেচনায় নিয়ে সরকার এ নীতিমালা বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।

সভায় বাংলাদেশে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা ২০২০ বাস্তবায়ন অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। এতে জানানো হয়, ইতোমধ্যে এ নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে ম্যাট্রিক্স আকারে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে। বিএআরসিকে স্কীমওনার হিসেবে মনোনয়ন করা হয়েছে। এছাড়া জিএপি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন অংশীজন সমন্বয়ে স্টিয়ারিং কমিটি, টেকনিক্যাল কমিটি ও সার্টিফিকেশন কমিটি গঠিত হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো: আবদুর রৌফ, কমলারঞ্জন দাশ, মো: রুহুল আমিন তালুকদার, হাসানুজ্জামান কল্লোল, আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ এনডিসি, বিএআরসির চেয়ারম্যান শেখ মো: বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিজি বেনজীর আলমসহ অন্যান্য সংস্থাপ্রধানগণ ও স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।