নড়াইল পৌরসভার মেয়রকে বহনকারী গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গাড়ি চালক নিহত হয়েছেন। এঘটনায় মেয়রসহ আরো চারজন আহত হয়েছেন। রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে সদর পৌরসভার ভওয়াখালী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত চালকের নাম সুজন কর্মকার (৩৮)। তিনি জেলা সদরের মহিষখোলা গ্রামের নিরাপদ কর্মকারের ছেলে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- সদর পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ইপি রানী বিশ্বাস, পৌরসভার হিসাবরক্ষক সাইফুজ্জামান ও মেশকাত লিটু।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌর মেয়রের নিয়মিত গাড়ি চালক ছুটিতে থাকায় অস্থায়ীভাবে চালক সুজন কর্মকারকে নিয়োগ দেওয়া হয়। রোববার দুপুরে মেয়র ও বাকিরা গাড়িযোগে বাহিরডাঙ্গা থেকে ফিরছিলেন। প্রতিমধ্যে ভওয়াখালী এলাকার মৃত হামিদ বিশ্বাসের বাড়ির সামনের মোড়ে পৌঁছালে তাদের বহনকারী গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাড়ির দেওয়ালে সজোরে আঘাত করে।
এতে গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এসময় চালক এবং সামনে বসা মেয়র গুরুতর আহত হন। পেছনের ছিটে বসা ছিলেন মেশকাত লিটু, কাউন্সিলর ইপি রানি ও পৌরসভার হিসাবরক্ষক সাইফুজ্জামান ও এসময় আহত হন।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চালক সুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এছড়া গুরুতর আহত মেয়র আঞ্জুমানারাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর পাঠানো হয়েছে। বাকিরা নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান বলেন, পৌর মেয়রের গাড়ি দুর্ঘটনায় চালক নিহত হয়েছেন। চালকের লাশ ময়নাতন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি পক্রিয়া শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।