মোঃ শরিফ উদ্দিন, শেরপুর প্রতিনিধি: আমি কোনোদিন কল্পনাও করিনি এভাবে আদরের ধন মারা যাবে। আমার স্বামী
আমার একমাত্র আয়ের উৎস ছিল। আমার সংসার চলবে কীভাবে? ছোট অবুঝমেয়েটিকে মানুষ করবে কে?’ এভাবেই বিলাপ করছেন শেরপুরে সড়কদুর্ঘটনায় নিহত রফিকুলের স্ত্রী রূপসী বেগম। একই সড়ক দুর্ঘটনায়
স্বামী ও ছেলেকে হারিয়ে পাগল প্রায় তিনি।

ছেলেকে নিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় বাবা-ছেলেরমৃত্যুর ঘটনায় পরিবারে চলছে শোকের মাতম। বাবা-ছেলের এমন মৃত্যু মেনেনিতে পারছেন না স্বজন ও এলাকাবাসী। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে শেরপুর-নালিতাবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের তাতালপুর ও মির্জাপুর রোডেট্রাকচাপায় তিনআনীর রাজনগর এলাকার মৃত জালাল উদ্দীনের ছেলে রফিকুল
ইসলাম (৪৫), তার ছেলে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী রাব্বি (১২) ও ঝিনাইগাতীউপজেলার তিন আনি এলাকার আবুল কালামের ছেলে জুবাইল (২০) নিহত হন।নিহতরা সিএনজিচালিত আটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।নিহত জুবাইলের চাচা সারোয়ার জাহান সিদ্দিকী সোহাগ বলেন, সেআমার কাছে দর্জির কাজ শিখত। কাল রাতে কাজ শিখে বাড়ি ফেরার পথেছেলেটা মারা যায়। আমরা দেখি অতিরিক্ত গতিতে ট্রাক এসেসিএনজিচালিত অটোরিকশাটির সঙ্গে ধাক্কা খায়। আমি প্রশাসনের কাছেদাবি জানায় যেন এই সিএনজি চালকদের ট্রেনিং করানো হয়।

নিহতের স্বজন ডা. ফারুক আহম্মেদ বলেন, শেরপুর ডাক্তার দেখিয়ে বাড়িতেআসছিল। তারপর চাউল ভর্তি ট্রাক তাদের সিএনজিকে ধাক্কা দেয়। তাদেরকেহাসপাতালে নিয়ে আসার সময় মারা গেছে। ড্রাইভারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিচাই। নিহত রফিকুলের আরেক স্বজন ফকির আলী বলেন, আমরা মেনে নিতে
পারতেছি না। তারা এভাবে চলে যাবে। আমাদের এলাকায় তাদের মৃত্যুতে
শোকের ছায়া নেমে এসেছে।শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহ নেওয়াজ নোমান
বলেন, হাসপাতালে তিনজনকে মৃত অব¯’ায় নিয়ে আসা হয়। আরও তিনজন
আহত অব¯’ায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ব্যাপারে সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু সাইম বলেন,তাতালপুরের বলস্বর ব্রিজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা ঘটনার পরেইঘাতক ট্রাকটি আটক করেছি। ট্রাকচালক পলাতক আছেন।