মাগুরার মহম্মদপুরে আগুনে ২ কৃষকের বাড়ি পুড়ে ধুলিস্যাৎ হয়ে গেছে। এতে ওই কৃষক পরিবারের প্রায় সব কিছু পুড়ে নি:স্ব হয়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহত হয়নি।
আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়নের সিন্দাইন গ্রামের কৃষক সাহেব আলী ও শাহিন মোল্যার বাড়িতে।
তারা অভিযোগ করেন , ‘ফায়ার সার্ভিস আসতে প্রায় দেড় ঘন্টা দেরি করেছে। এই কারণে আগুনে চাচা ভাস্তের চারটি বসত ঘর, দুইটি রান্না ঘর, দুইটি গোয়াল ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিস একটি গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। এসময় কর্তব্যরত ফায়ারম্যান বাঁধা দিলে তাদের উপর হামলা চালাই বলে অভিযোগ করেন ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো: মোস্তাইন আলী ।
ক্ষতিগ্রস্থ সাহেব আলীর স্ত্রী রেখা বেগম জানান, ‘সকালে রান্না করার পর আর কেউ চুলা জ্বালায়নি। এছাড়া বিদ্যুৎ থেকেও আগুন লাগেনি। কিন্তু কিভাবে আগুন লাগলো তা বুঝতে পারছি না।
কৃষক সাহেব আলী বলেন, তিনটি শোবার রুম, রুমে থাকা সব আসবাবপত্র, একটি গোয়াল ঘর, রান্না ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরিবারের ৫ সদস্যকে নিয়ে আজ থেকে খোলা আকাশের নীচে থাকতে হবে।
কৃষক শাহিন মোল্যা অভিযোগ করে বলেন, ‘দমকলের গাড়ি আসতে দেরি করেছে। তাই আমার এত ক্ষতি হয়েছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহম্মদপুর স্টেশন কর্মকর্তা মো. মোস্তাইন আলী বলেন, ‘আগুন লাগার কত সময় পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি, সেটা মুখ্য বিষয় নয়। আমরা ফোনকল পাওয়ার কত মিনিটের মধ্যে গেছি সেটা দেখুন। খুব অল্প সময় ঘটনাস্থলে পৌছায়। কিন্তু এলাকার লোকজন উত্তেজিত হয়ে গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করেছে। এসময় বাঁধা দিতে গিয়ে দুইজন ফায়ারম্যান আহত হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।