মোঃ শাহ্ জালাল: মেঘে মেঘে অনেক বেলা হয়েছে। জীবন থেকে পেরিয়ে গেছে ৩৬টি বছর। আজ (১৩ ডিসেম্বর) ৩৭শে পা দিলেন যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার কৃতি সন্তান তরুণ প্রজন্মের আইকন জনপ্রিয় প্রিয় মানবিক ডা. মেহেদী হাসান।
১৯৮৫ সালের আজকের এই দিনে মণিরামপুর শ্যামকুড় ইউনিয়নের ছায়াঢাকা সবুজ পল্লীগ্রামের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী পিতা- আলহাজ্ব জবেদ আলী সরদার ও মাতা- ফরিদা বেগমের কোলজুড়ে জন্মগ্রহণ করেন ছোট সন্তান ডা. মেহেদী হাসান। ডা. মেহেদী হাসান অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থী থাকায় পিতামাতা ও ভাই বোনদের ইচ্ছাছিল ডাক্তার তৈরী করার। পরিবারের আশা ও নিজের আগ্রহে তিনি বিদেশে থেকে মেডিক্যাল ডিগ্রী নিয়ে ফিরে আসেব দেশ সেবায় সুনাম অর্জন করার জন্য। মহামারি করোনার প্রাদূর্ভাবে মানুষ যখন দিশেহারা। তখন যশোরের মানবিক এই ডাক্তার মেহেদী হাসান নিরন্তর ছুটে চলেছেন করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে। শুধু মণিরামপুরেই তিনি সিমাবদ্ধ রাখেননি ফ্রি চিকিৎসা সেবার।মনিরামপুরের পাশাপাশি তিনি সারাদেশ এবং দেশের গন্ডি পেরিয়ে প্রবাসী করোনা আক্রান্ত রোগিদের ফ্রি চিকিৎসাসেবা দিয়ে চলেছেন, আবার কখনো কখনো দিয়েছে অসহায় রুগীর ফ্রী ঔষধ। দুর দুরান্তের রোগীদের তিনি চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন প্রতিনিয়ত টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে। এ পর্যন্ত তিনি ছয় হাজার প্লাস করোনা আক্রান্ত রোগীকে টেলিমেডিসিনের আওতায় চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করেছেন। দরিদ্র থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরাও বাদ যাননি ডা: মেহেদীর টেলিমেডিসিনের চিকিৎসা থেকে। ইতিমধ্যে তার এই অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার অফিস এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনষ্টিটিউট(আইইইবি), যশোর পুলিশ, কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংক এর থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। ডা: মেহেদী হাসান বর্তমান ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে(বিএসএমএমইউ) প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগে কর্মরত রয়েছেন। শুধু তাই নয়, ডা: মেহেদী নিজের এলাকার মানুষের কথা কোন ভূলে যাননি।
এলাকার মানুষের বিপদে-আপদে তিনি চেষ্টা করেন পাশে থাকার। তরুণ এই চিকিৎসক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সহ এলাকার বহু ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার খরচ বহন করে চলেছেন। পাশে দাঁড়িয়েছেন বহু অসহায় রুগীর পাশাপাশি অসহায় মানুষের। আয়ের ৮০% ব্যয় করেন মানব সেবায়। ইতিমধ্যে এলাকায় মানুষের কাছে বেশ প্রিয় হয়ে উঠেছে। সেই প্রিয় মানুষটার আজ জন্মদিন এই জন্মদিন একমাত্র সন্তান আদিয়ান মাহির ফাইহান (৪বছর বয়স) বাবাকে ফোন বলছেন শুভ জন্মদিন বাবা, আই মিস উ। জানাযায়, বিশেষ এই দিনে ডা. মেহেদী পরিবার পরিজন কে ফেলে রুগীর সেবায় ব্যস্ত। দিন শেষে ডা. মেহেদী হাসান গ্রামের বাবা-মা আত্মীয় সজন ও স্ত্রী সন্তান এবং প্রিয় মানুষ গুলোকে খুব মিস করছেন । সহধর্মিনী ডা. ফাহমিদা সুলতানা (৩৯তম বিসিএস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যশোর) এক ম্যাসেজের মাধ্যমে লিখেছেন তোমাকে খুব মিস করছি। শুভ জন্মদিন।
সম্প্রতি জনপ্রিয় ডাক্তার মেহেদী হাসান এর বিভিন্ন ছবি ব্যবহার করে শুভেচ্ছায় শুভেচ্ছায় মুখরিত ছিল আজকের দিনভর সোশল মেডিয়া ফেইসবুক। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হাজার হাজার পেশেন্ট, আত্মীয়-স্বজন, পুলিশ সদস্য, ব্যাংকার, সহকারী, এডমিন ক্যাডার, সুধীজন, বন্ধুবান্ধব।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।