রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর পবা উপজেলায় রাতের আঁধারে পুকুর সংস্কারের নামে চলছে মাটি বিক্রির মহোৎসব।উপজেলা প্রশাসনকে চোঁখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার পরে চলে অভিযান।অভিযানে পুকুর খনন সাময়িক বন্ধ হলেও অদৃশ্য কারনে ঠিক পরের দিনই আবার চালু হয়ে যায় পুকুর খনন ও মাটি বিক্রির বাণিজ্য।
আদালতের আদেশ কে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে রাজু নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুরাতন পুকুর সংস্কারের নামে মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, পুকুর খননকারী এই রাজু এসিল্যান্ড’কে ম্যানেজ করে পবা উপজেলার ভালাম এলাকায় প্রায় ৩ বিঘার একটি পুরাতন পুকুর সংস্কারের নামে ইট ভাটায় মাটি বিক্রি করছে।
অভিযোগ আছে পবার এসিল্যান্ড অভিজিৎ সরকার মৌখিকভাবে রাজুকে অনুমোদন দেয় এভাবে যে, সামনে কোরবানী ঈদের কয়েকদিন ছুটিতে রাতের আঁধারে পুকুর খননের কাজগুলো যেনো তারাতারি শেষ করা হয়।
এলাকাবাসীরা জানান, পুকুর খনন করছে রাতের আধাঁরে।শুকনো মাটির ধোলাই নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ আর মাটি পরিবহনের জন্য রাস্তাগুলো নষ্ট হচ্ছে।আর রাস্তায় মাটি পরে থাকা অবস্থায় একটু বৃষ্টি হলেই মাটি বহনের এই রাস্তা যেনো মৃত্যু ফাঁদ।এই রাজুর পুকুর খননের কারনে আমরা এই রাস্তায় চলাচল করতে পারিনা।এ বিষয়ে চেয়ারম্যানকে অভিযোগ দিয়েছি ইউএনও সাহেব এসে বন্ধ করেছে তারপরও পুকুর খনন বন্ধ হচ্ছেনা।আমরা এই পুকুর খনন বন্ধ চাই।প্রয়োজনে মানববন্ধন করতে চাই।
পুকুর খননকারী রাজু সাংবাদিকদের চ্যালেন্জ করে জানান, এই কাজ যতবার বন্ধ হবে ততবার আমি কাজ চালু করবো, আপনাদের যা ইচ্ছা করেন।
পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, আমিতো ঈদের ছুটিতে আছি তাই এসিল্যান্ড’কে বিষয়টি জানাচ্ছি তিনি ব্যবস্থা নিবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিৎ সরকার বলেন, আপনারা দুই একটা নিউজ করেনতো, আর আমার যা করার তাই করতাছি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।