কেশবপুর( যশোর) প্রতিনিধিঃ কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিচয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ বিরাজ করছে কেশবপুর উপজেলা ব্যাপী । উপজেলার পাঁজিয়া বাজারের কমিটি ও ব্যবসায়ীরা বৃহস্পতিবার রাতে আলোচনা সভা করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। ভুক্তভোগীরা প্রশাসনসহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাঁজিয়া বাজারের নিউ লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক সঞ্জয় দাস, লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক নিত্যঞ্জয় দাস (মনু) ,সোহাগ মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক সোহাগ হোসেন ও মিষ্টি ব্যবসায়ী অঞ্জন অধিকারীকে পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য শম্ভু নাথ বসু ১৮ জুলাই তাদের ৪ জনের দোকানে গিয়ে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কথা বলবেন। তখন মেম্বর শম্ভু নাথ বসু নিজের মোবাইল ফোন দিয়ে তাদের একটি মোবাইল নম্বরে কথা বলিয়ে দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী ওই ব্যক্তি মোবাইলে জানান, করোনার সময়ে দোকানে বেচাকেনা করায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে চিরতরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ সময় ওই ব্যক্তি নিউ লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক সঞ্জয় দাসের কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে বলেন, টাকা দিলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে না। তখন ভয় পেয়ে তিনি ওই ব্যক্তির পাঠানো বিকাশ নম্বরে ৩০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। এ ঘটনা উল্লেখ করে ভুক্তভোগীরা বৃহস্পতিবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

এ ঘটনায় পাঁজিয়া বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা বৃহস্পতিবার রাতে বাজার কমিটির উদ্যোগে এক আলোচনা সভা করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাজার কমিটির সভাপতি ও পাঁজিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল। বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ লাভলুর সঞ্চালনায় সভায় বক্তৃতা করেন উপদেষ্টামন্ডলীর সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আয়ুব আলী, কোষাধ্যক্ষ পার্থ ব্যানার্জি, সাবেক মেম্বর জহুরুল ইসলাম, চাল ব্যবসায়ী বিকাশ পাল, মুদি ব্যবসায়ী মকবুল হোসেন, শংকর দেবনাথ, ভুক্তভোগী মিষ্টির দোকানদার সঞ্জয় দাস, নিত্যঞ্জয় দাস, সোহাগ হোসেন প্রমুখ। নিউ লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক সঞ্জয় দাস বলেন, ইউপি সদস্যের কথায় বিশ্বাস করে ও ভয়ে তিনি ৩০ হাজার টাকা বিকাশ করে দিয়েছেন। ইউপি মেম্বর শম্ভু নাথ বসু বলেন, তিনিও প্রতারকদের ধোঁকায় পড়েছেন। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বোরহান উদ্দীন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি । তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।