পঞ্চগড়ে কলেজছাত্রী মেয়ের শ্লীলতাহানির ঘটনায় বিচার না পেয়ে বাবার (৫০) আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের লাখেরাজ ঘুমটি গ্রাম থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের ছেলে জানান, তার কলেজ পড়ুয়া বোনকে গত ১৭ জানুয়ারি রাতে প্রতিবেশী শ্যামল চন্দ্র বর্মণের ছেলে পলাশ চন্দ্র বর্মণ বাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পরিবারের লোকজন বাধা দিলে পলাশ পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বোন আহত হলে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও জানান, ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে তাদের পরিবারের ‘সম্মানহানি’ হয়। এ ঘটনায় মাগুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মণের কাছে বিচার দাবি করলে তিনি বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন; কিন্তু এরপর এক সপ্তাহেও কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ২৪ জানুয়ারি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন বাবা।
তিনি দাবি করেন, অভিযোগ পেয়ে চেয়ারম্যান ১ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ ডাকলেও সেদিন বৈঠক বসেনি। এ অবস্থায় ন্যায়বিচার না পেয়ে বুধবার রাতে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ির পাশে গাছের ডালের সঙ্গে গলায় চাদর পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তার বাবা।
অভিযোগের বিষয়ে মাগুরা ইউপি চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মণ বলেন, আমি অভিযোগ পেয়ে ১ ফেব্রুয়ারি উভয়পক্ষকে বসার নোটিশ দিয়েছিলাম; কিন্তু অভিযোগ যারা করেছেন তারাই আসেননি। তারা না আসলে কিভাবে সুরাহা করব?
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে মেয়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেও তিনি বিচার পাননি। এ কারণে তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। তবে ইউপি চেয়ারম্যান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।