গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার পুইশুর ইউনিয়ন নির্বাচনে পরাজিত হয়ে প্রিজাইডিং অফিসারকে লাঞ্ছিত, পোলিং এজেন্ট ও বিজয়ী প্রার্থীর ওপর হামলা, ভোটকেন্দ্র ভাংচুর ও ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় ১২ জনকে আসামী করে কাশিয়ানী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পুইশুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বিজয়ী ইউপি সদস্য মো. রাজু শিকদারের ছোট ভাই রোমান শিকদার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) কাশিয়ানী উপজেলার পুইশুর ইউনিয়ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরে সন্ধ্যায় ভোট গণনা শেষে উপজেলার পুইশুর ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হিসেবে মো: রাজু শিকদারকে বিজয়ী ঘোষণা করে ফল ঘোষণা করা হয়। এতে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী সেলিম মোল্যা ক্ষিপ্ত হয়ে তার সমর্থকদের নিয়ে ধারালো রামদা, লোহার রড ও লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ৯নং ওয়ার্ড ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পোলিং এজেন্ট এস এম আব্দুল্লাহ, সাইফুল সরদার এবং বিজয়ী ইউপি সদস্য মো. রাজু শিকদারের উপর হামরা চালিয়ে আহত করে। এছাড়াও বিজয়ী ইউপি সদস্য রাজু শিকদারের বাড়িতে গিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় বাঁধা দিতে গেলে রাজু শিকদার ও তার পরিবারের লোকজনকে বেধড়ক মারপিট করে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। আহতরা কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নির্বাচনে পুইশুর ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী সেলিম মোল্যা ২ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। তিনি এ ফল প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় আরও দু’বার ভোট গণনা করান। তাতেও জয়ী না হতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে বিপুল সংখ্যক লোকজন নিয়ে ভোটকেন্দ্র ঘিরে ফেলেন এবং কেন্দ্রের টিনের বেড়া ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় বাঁধা দিতে গেলে আমাকে লাঞ্ছিত ও দায়িত্বরত পুলিশ, পোলিং এজেন্টদের ওপর হামলা চালায়। কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রথীন্দ্র নাথ রায় প্রিজাইডিং অফিসারকে লাঞ্ছিত, পোলিং এজেন্টকে মারধর ও ভোটকেন্দ্রে হামলা-ভাংচুরের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশকে বাদী হয়ে মামলা দায়েরের কথা বলা হয়েছে। তবে বিজয়ী ইউপি সদস্যের পক্ষ থেকে একটি মামলা হয়েছে। যেহেতু মামলা হয়েছে সেহেতু এটি কঠোরভাবে তদারকি করা হবে। কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোহাম্মদ ফিরোজ আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।