মোস্তফা কামাল, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধিঃ- কঠোর লকডাউনের মধ্যে কর্মহীন এবং অলস সময় কাটানো মানুষরা কেশবপুর উপজেলার গ্রামাঞ্চলগুলোতে স্মাট ফোনে লুডু গেমের মাধ্যমে ব্যাপক হারে জুয়া খেলা চলছে। স্কুল-কলেজ ও কোচিংগুলো বন্ধ থাকায় ছাত্র, তরুণ, যুবক এমনকি কিশোররাও মোবাইল ফোনে লুডু অ্যাপের এই জুয়া খেলায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। এই লুডু গেমের পাশাপাশি মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেম কেন্দ্রিক জুয়া খেলা চলছে বিভিন্ন এলাকায়।
গ্রামাঞ্চলে বাঁশ ঝাড়ের আড়ালে, নিরিবিলি জায়গায় ৩ থেকে ৪ জন একসাথে বসে মোবাইল ফোনে এই জুয়া খেলছে। এমনকি বিভিন্ন বাসা বাড়িতেও স্কুল পড়–য়া কিশোর তরুণরা এবং পড়াশোনা থেকে ঝড়ে পড়া কিশোররাও এই জুয়া খেলায় লিপ্ত হয়ে পড়ছে। এতে প্রতিটি গেমে খেলোয়াড় কমপক্ষে ৫০ থেকে ৫০০ টাকা বেড ধরে খেলায় অংশ গ্রহণ করছে। সকাল থেকে শুরু করে সারাদিন এই খেলা চলতেই থাকে।
জেলায় এই ধরণের জুয়া খেলা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবারগুলো। এই খেলায় আসক্ত হয়ে জুয়ার টাকা জোগার করতে বিপদগামী হয়ে পড়ছে তরুণ এবং কিশোররা। মোবাইলের এই লুডু জুয়াকে কেন্দ্র করেই কেশবপুর উপজেলার ১নং ত্রিমোহিনী ২নং সাগরদাড়ী ৩নং মজিদপুর ৪নং বিদ্যানন্দকাটি ৫নং মঙ্গলকোট ৬ নং কেশবপুর ৭ নং পাজিয়া ৮ নং সুফলাকাটি ৯ নং গেীরিঘানা ১০ নং সাতবাড়িয়া ১১ নং হাসানপুর ইউনিয়নে গড়ে উঠছে কিশোর গ্যাং। তারা জুয়ার টাকা জোগার করতে নানা অপকর্মেও জড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই জুয়া খেলা বন্ধে এখন পর্যন্ত কোন প্রশাসনিক তৎপরতা না থাকায় এ ধরণের জুয়া খেলার প্রবণতা যেমন ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি তরুণ, কিশোর ও ছাত্রদের এই জুয়া খেলার আসক্তি বৃদ্ধিসহ তাদের ভবিষ্যত নষ্ট করা এবং অপকর্মে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে ফেলছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।