যশোরের মণিরামপুরের ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদে সালিশের সময় মারপিট করার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টুসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
বুধবার ঝাঁপা গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী রুবিনা খাতুন বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, চন্ডিপুর গ্রামের নওশের আলীর ছেলে ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হক মন্টু, ঝাঁপা গ্রামের বিল্লাল হোসেন, তার স্ত্রী বিলকিস বেগম ও মেয়ে তানিয়া খাতুন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, রুবিনা খাতুনের ভাই হেলাল হোসেন মালয়েশিয়া প্রবাসী। আসামি তানিয়া খাতুন প্রেমের ফাঁদে ফেলে মোবাইল ফোনে বিয়ে করেন হেলালকে। হেলাল বিষয়টি মেনে নিয়ে স্ত্রী তানিয়ার যাবতীয় খরচ বহন করতেন। হেলাল তার স্ত্রীকে নগদ এক লাখ টাকাসহ সোনার গহনা, আসবাবপত্র ক্রয় করতে ১৪ লাখ ২৯ হাজার ৩শ’ টাকা দেন। তানিয়া তার মা ও বাবার পরামর্শে গত ১০ মে হেলালকে তালাক দেন। এ সংবাদ জানতে পেরে হেলালের বোন রুবিনা খাতুন ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ি গিয়ে নগদ টাকা, আসবাবপত্র, সোনার গহনা ফেরত চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেন তারা।
এ ব্যাপারে মামলা করতে চাইলে চেয়ারম্যান বিষয়টি জানতে পেরে মীমাংসা করে দেয়ার প্রস্তাব দেন। গত ১৮ জুলাই উভয়পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকেন চেয়ারম্যান। কথাবার্তার একপর্যায়ে তানিয়ার পরিবার কোনো কিছুই ফেরত দিবেনা বলে জানিয়ে দেয়। এনিয়ে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে তানিয়ার মা-বাবা রুবিনাকে মারপিট শুরু করেন। এরপর চেয়ারম্যান তাকে কিল ঘুষি মারেন এবং লাথি মেরে পরিষদের বারান্দা থেকে ফেলে দেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।