ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা মুন্সিপাড়া গ্রামে স্ত্রীকে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগে সোহেল রানা ড্রাইভার (৩৮) নামে এক লম্পটকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম।
বুধবার (১০ নভেম্বর) রাতে ৯৯৯ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নির্যাতিত নারীকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে।
নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানাযায় প্রায় ৫ বছর আগে ওই নারীর সাথে সোহেল রানার প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে হয়। বিয়ের পর একটি কন্যা সন্তান জন্ম লাভ করে। কন্যা সন্তানের বয়স ৩ বছর। বিয়ের পর থেকে সোহেল ও তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের জন্য মারপিট করত। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্যাতিতার পরিবার বিজ্ঞ আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় সোহেলকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। পরে আদালত আপোষ শর্তে জামিনে মুক্তি দেয়। কিন্তু আদালতের আদেশ অমান্য করে সোহেল তার স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং ১০ নভেম্বর পরিবারের সদস্যরা মিলে পাশবিক নির্যাতন চালায়। লোহার রড দিয়ে তার একটি হাত ভেঙ্গে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে মাথায়, চোখে গুরুতর জখম করে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করে আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন ৯৯৯ খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে ওই নারীকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। এ সময় তার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।