বিয়ে বাড়িতে কনেপক্ষের লোকজনের খাওয়া শেষ। রওনা হয়েছেন বর, তখনো পৌঁছাননি, পথেই আছেন। বরযাত্রীদের খাবারও প্রস্তুত। এমন সময় গ্রাম পুলিশ, ওয়ার্ড সদস্যসহ বিয়েবাড়িতে উপস্থিত হন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম। খবর পেয়ে কনে ছাড়াই ফিরে যান বর, বন্ধ হয় দুই কিশোরীর বিয়ে।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) এমন ঘটনা ঘটেছে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ৫ নাম্বার মাঝগাঁও ইউনিয়নে।
মাঝগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম বলেন, ‘বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য, গ্রাম পুলিশ নিয়ে প্রথমে এক কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে হাজির হই। পরে আরেক কিশোরীর বাড়িতে যাই। উভয় বাড়িতেই নিজেদের আত্মীয়স্বজনকে দুপুরের খাবার খাওয়ানো শেষ। এখন বরযাত্রীর অপেক্ষা।’
তিনি আরও বলেন, ‘উভয় পরিবারই নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে মেয়ের বয়স আঠারোর আগে বিয়ে দেবে না মর্মে মুচলেকা দিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়। একই সঙ্গে পথে থাকা বরযাত্রীকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খবর দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।’
ইউএনও মারিয়াম খাতুন বলেন, ‘দুটি বাল্যবিবাহ সম্পর্কে খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দিই। তারা সেই মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছেন।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।