উপজেলা প্রতিনিধি, বিরামপুর, দিনাজপুরঃ স্বামীকে বাসায় রেখে প্রতিবেশিদের সঙ্গে ওয়াজ মাহফিলে গিয়েছেন স্ত্রী হালিমা বিবি। রাতের বাড়ির অদূরে বর্গা নেওয়া কাটা ধানের জমি দেখতে গিয়ে আর ফিরে আসেন নি স্বামী আশরাফুল ইসলাম (৪৭)। সকালেই ওই জমিতেই মিললো আশরাফুলের মাথা থেতলানো ক্ষতবিক্ষত মরদেহ।
আজ সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বেগমপুর ধানক্ষেতের মাঠ থেকে আশরাফুলের মরদেহটি উদ্ধার করে থানা পুলিশ। নিহত আশরাফুল ইসলাম ওই এলাকার মৃত. কফিল উদ্দিনের ছেলে। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে থানা পুলিশ জানায়, রোববার রাতে আশরাফুলের স্ত্রী প্রতিবেশিদের সঙ্গে হাকিমপুর উপজেলার সাতকুড়ি এলাকায় ওয়াজ মাহফিলে যায়। তার ছেলে চাকুরির সুবাদে ঢাকায় অবস্থান করেন। আজ সকালে বাড়ি থেকে প্রায় ৪’শ গজ দূরে তার বর্গা নেওয়া জমিতে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহতের স্ত্রী হালিমা বেগম জানান, রোববার সন্ধ্যার কিছু আগে সাতকুড়ি এলাকায় ওয়াজ শুনতে গিয়েছিলাম। রাতে ওয়াজ শুনে মেয়ের বাড়িতেই ছিলাম। আজ সকালে প্রতিবেশিদের খবরে এসে আমার স্বামীর মরদেহ দেখতে পাই। আমার স্বামী একজন ভালো মানুষ ছিলেন।
এলাকাবাসি আব্দুর জলিল বলেন, ‘নিহত আশরাফুল ইসলাম একজন সাদা সিদে মানুষ। এলাকার কারো সঙ্গে তার কোন দ্বন্দ্ব নেই। রাতে এক সঙ্গে আমরা মসজিদে নামাজ আদায় করেছি। সকালে শুনি তাকে কে বা কাহারা হত্যা করে মরদেহটি ধানের জমিতে রেখে যায়।’
জানতে চাইলে, বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, ‘ধারনা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।বিষয়টি তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।