বিকাশের মতো সাংবাদিক পরিচয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতারণার চেষ্টা:

 

বিকাশে টাকা হাতিয়ে নেয়ার মতো এবার সাংবাদিক পরিচয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতারণা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোর ঢাকা রিপোর্টার হিসেবে পরিচয় দিয়ে জেলার এক সরকারি কর্মকর্তার কাছে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেস্টা চালায় ওই প্রতারক।
সরকারি ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, হঠাৎ দুপুর ২টার পর ০১৪০৯১৩৮১৩৪ নম্বর থেকে মোবাইল ফোনে কল আসে। রিতিমত নাম ধরে বলেন আপনি কি পলাশ (ছদ্দ নাম) উত্তরে তিনি বলেন জি। তখন ওই প্রতারক বলেন আমি প্রথম আলো পত্রিকার রিপোর্টার ঢাকা থেকে বলছি। আপনার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ এ বিষয়ে রিপোর্ট হবে। প্রথমে সরকারি কর্মকর্তা তার কথায় ঘাবরে গেলেও পরে তিনি বলেন, আপনি কি জানতে চাইছেন। প্রতারক বলেন আপনার অফিসে অনেক কাজ হয়। আপনার দূর্বলতা কথায় সেটি বলুন। যা আমি সব জানি। রিপোর্টটি যেন না হয় সেজন্য দ্রুত সমেয় আপনি ৩০ হাজার টাকা পাঠাবেন। তা না হলে আগামীকাল আপনার বিরুদ্ধে রিপোর্ট বের হবে। আর রিপোর্ট হলে তদন্ত হবে আপনার মোটা অংঙ্কের টাকাও যাবে চাকুরিচুত্য হতে পারেন। এসব ঝামেলায় না গিয়ে আমি যা বলছি তা করলে আপনার জন্য মঙ্গল হবে। উত্তরে সরকারি কর্মকর্তা বলেন আমার বিরুদ্ধে কোন রিপোর্ট হলে তার সত্যতা প্রমান না হলে আপনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবো। দীর্ঘ সময় কথা বলার পর সরকারি কর্মকর্তা ফোন কেটে দিয়ে বিষয়টি অফিসের আরেক কর্মকর্তার কাছে শোয়ার করে ৫ মিনিট পর ওই নম্বরে ফোন দিলে নম্বরটি বন্ধ পায়। পরে সন্দেহ হরে ট্রু কলার সফটওয়্যারে ওই ব্যক্তি কে খুজলে সেখানে ফেসে উঠে প্রথম আলো ব্লাক মেইল। তখন সবাই বুঝতে পারে ওই ব্যক্তি একজন প্রতারক।
এ বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তা পলাশ (ছদ্দ নাম) বলেন, আমি ঠাকুরগাঁওয়ে চাকুরি করি কি আমার নাম প্রতারক ঠিক সবি জানে। কারন সরকারি কর্মকর্তাদের নাম মোবাইল নম্বর অফিসের ওয়েব সাইডে দেয়া থাকে। তাই আমার নাম জিঙ্গেস করে কথা বলছেন যা অবিশ্বাস করার মত কথাই না। যদি ফোন না কেটে দিতাম তাহলে হয়তো বুঝতে পারতাম না। তাই সকলকে এধরনের কল থেকে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।