নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় ঘর থেকে তুলে বিলে নিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মোজাহিদ ইসলাম (২৩) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার অতিথিপুর বাজারের কম্পিউটার দোকান থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক মোজাহিদ বারহাট্টা উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। অতিথিপুর বাজারে তার একটি কম্পিউটারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই মাদ্রাসাছাত্রী (১২) তার ছয় বছরের ছোটভাইকে নিয়ে শনিবার রাতে নিজ বসত ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। অভিযুক্ত মোজাহিদ মাঝরাতে অভিনব কায়দায় বাহির থেকে ঘরের দরজা খুলে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে অতিথিপুর রেলস্টেশনের সন্নিকটে ইসলামপুর বিলে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়।
ওই ছাত্রীর মা রাত ৩টার দিকে প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বের হয়ে মেয়ের ঘরের দরজা খোলা পান। মেয়েকে কোথাও দেখতে না পেয়ে তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের বিষয়টি জানান। পরিবারের লোকজন চারদিকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ভোর ৫টার দিকে তাকে ইসলামপুর বিল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
পরিবারের লোকজন রোববার সকালে বিষয়টি বারহাট্টা থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ সকাল ৯টার দিকে অতিথিপুর বাজারের কম্পিউটার দোকানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মোজাহিদকে আটক করে। পরে পুলিশ ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. টিটু রায় জানান, গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করবেন।
বারহাট্টা থানার ওসি মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ অভিযুক্ত মোজাহিদের কম্পিউটারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মূল অভিযুক্তকে থানা হেফাজতে রেখে বাকি দুজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
#যুগান্তর
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।