বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে কীটনাশক (পচনশীল বিষ) ছিটিয়ে আমির হোসেন নামে এক কৃষকের প্রায় দুই একর জমির পেঁয়াজ নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারী) ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বোয়ালমারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের ডোবরা গ্রামের ফলিয়ার বিল এলাকায়। সোমবার বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের ডোবরা গ্রামের কৃষক আমির হোসেন মোহনপুর মৌজার ফলিয়ার বিল এলাকায় ১৮০ শতাংশ পেঁয়াজের ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে চাষাবাদ করেছেন।
ওই কৃষকের সাথে একই গ্রামের লতিফ মোল্যার ছেলে রবিউল মোল্যা, জোমারত মোল্যা, রতন মোল্যার ছেলে কাবুল মোল্যা, রাহুল মোল্যা ও আরিফ মোল্যার ছেলে শিমুল মোল্যার পূর্ব শত্রুতা চলছে। তাদের সাথে আমির হোসেনের একটি মামলাও বিচারাধীন রয়েছে।
পূর্ব শত্রুতার জেরে রবিবার দিবাগত (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতের কোন এক সময় কৃষক আমির হোসেনের প্রতিপক্ষরা ঘাস মারা কীটনাশক (পচনশীল বিষ) প্রয়োগ করে ওই পেঁয়াজ ক্ষেত নষ্ট করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। আমির হোসেন রবিবার সকালে ক্ষেতে গিয়ে দেখেন সব পেঁয়াজ গাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় আমির হোসেনের প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আমির হোসেন কান্না কণ্ঠে বলেন, কৃষি ব্যাংকের কাদিরদী শাখা হতে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেছি। প্রতিপক্ষদের সাথে মারামারির ঘটনায় একটি মামলা চলছে। মামলাটি ঘটনার আগের দিন তুলে নিতে প্রতিপক্ষরা আমাকে চাপ প্রয়োগ দিতে থাকে। এমনকি মামলা তুলে না নিলে প্রতিপক্ষরা খুন—জখমেরও হুমকি দিয়েছেন বলে তিনি আরো জানান।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী বোয়ালমারী থানার উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) মো. সফিউদ্দিন বলেন, অভিযোগ পেয়ে কৃষকের পিয়াজের ক্ষেত পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘটনাটি দেখে আমিই মমার্হত হয়েছি। জানতে পেরেছি ওই কৃষক ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে চাষাবাদ করেছেন। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।