মণিরামপুরের হাজরাকাটি গ্রামের আব্দুল হাই গাজীর বাড়িতে চুরি মামলায় এরশাদ গাজী নামে এক ব্যক্তিকে পৃথক ধারায় নয় বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার বিশেষ দায়রা জজ ও বিশেষ জজ জেলা ও দায়রা মোহাম্মদ সামছুল হক এ রায় দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত এরশাদ আলী গাজী কেশবপুর উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ মোস্তফা রাজা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে মণিরামপুরের আব্দুল হাই গাজী খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে নির্মাণাধীন সেমিপাকা ঘরের চটার তৈরী দরজার শিকল খুলে একদল চোর ভেতরে প্রবেশ করে। ঘরে থাকা সাববক্স সাবল দিয়ে খোলার সময় শব্দে আব্দুল হাই ও তার স্ত্রীর ঘুম ভেঙ্গে যায়। এসময় চোরেরা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা, সোনার গহনাসহ ২ লাখ ৫৭ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আব্দুল হাই বাদী হয়ে এরশাদ গাজীসহ অপরিচিত ২/৩ জনকে আসামি করে মণিরামপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় এরশাদ গাজীকে অভিযুক্ত করে ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মুনসুর আলী।
এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি এরশাদ গাজীর বিরুদ্ধে ৪৫৮ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ড এবং ৩৮০ ধারায় অভিযোগ প্রামণিত হওয়ায় চার বছরের সশ্রম কারাদন্ড, ৪ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৪ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
সাজাপ্রাপ্ত এরশাদ বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।