মসজিদের ভেতর সন্ত্রাসী হামলা করে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন নামে এক ব্যাক্তিকে আহত করা হয়। ঘটনাটি ঘটে ঢাকার ধামরাই উপজেলায়। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধাসহ নয় জন আহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে সন্ধিতারা গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সাটুরিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
এ ঘটনায় আহত মুক্তিযোদ্ধা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ দায়েরের পর দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। জানা গেছে, উপজেলা চৌহাট ইউনিয়নের সন্ধিতারা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন আজ জোহরে নামাজ পরার জন্য সন্ধিতারা জামে মসজিদের যায়। নামাজ শেষে মসজিদের হিসাব-নিকাশ নিয়ে বসেন মসজিদ কমিটি। ওই মসজিদ কমিটির সহসভাপতি পদে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন। এ সময় মসজিদ হিসাব-নিকাশ নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়।
একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ হাসান আলীর নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মসজিদের ভেতরে বৈঠকের মধ্যেই হামলা চালিয়ে আবুল হোসেন (৬৫) ও তার ছেলে শিক্ষক লিটন মিয়া (৩৪), ছোট ছেলে রাশেদুল ইসলামকে (২৬) এলোপাতাড়ি মারধরে মাথায় আঘাত করে। তাদের মাথায় সেলাই করা হয়েছে।
হামলা থামাতে গিয়ে আরও ছয়জন আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
আবুল হোসেন জানান, মসজিদ হিসাব-নিকাশ চলাকালে হাসান আলীর নেতৃত্বে তার ওপর হামলা হয়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার দুই ছেলেসহ আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘মসজিদের ভেতর মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলার ঘটনায় মামলা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে দুজন আসামিকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।