ভারতে যৌন নির্যাতনের শিকার নারীর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর থানা এলাকায়। দরিদ্র পরিবারে জন্ম বলে মাত্র তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত তিনি পড়ালেখা করতে পেরেছেন। ২০১৪ সালে প্রেম করে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের কুয়েত প্রবাসী এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ওই নারীকে শ্বশুরবাড়ির কেউ মেনে নেয়নি। তাকে বিভিন্ন সময় শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন ও অত্যাচার সহ্য করতে হতো। যে কারণে তিনি বিয়ের প্রায় ৫ বছর পর পর্যন্ত বাবার বাড়ি কিশোরঞ্জে থাকতেন। স্বামীও কোনো খোঁজ খবর নিত না। বাবার আর্থিক অনাটনের কথা চিন্তা করে ওই নারী সৌদি আরব যাওয়ার চিন্তা করেন। ঢাকায় কয়েক মাস হাতিঝিল এলাকায় ছিলেন। ঢাকায় থাকা অবস্থায় সৌদি যাওয়ার জন্য একবার এক দালালকে ত্রিশ হাজার টাকাও দেন ওই নারী ও তার বাবা। তবে দালাল তাদের টাকা আত্মসাৎ করে। এরপর কাউকে কিছু না জানিয়ে কয়েকমাস আগে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান ওই নারী। তার ৪ বছরের একটি পুত্র সন্তান আছে। সে বর্তমানে চাঁদপুরে তার দাদা-দাদির কাছে রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, টিকটক হৃদয়ের সঙ্গে ওই নারীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়, হৃদয় তাকে ভালো বেতনে চাকরিসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পাচার করে। এরপর সেখানে যৌন ব্যবসা করতে বাধ্য করা হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।