মিরু হাসান বাপ্পী,বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার সান্তাহারের পার্শ্ববর্তী নওগাঁর সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গা কৌশলে দখল করে সেখানে কাঠ রেখে অবাধে ব্যবসা করে যাচ্ছে একটি ‘ছ’ মিলের স্বত্বাধিকারী।
এছাড়া বন বিভাগের গাছ কাটারও অভিযোগ আছে ওই ‘ছ’ মিলের স্বত্বাধিকারীর বিরুদ্ধে। সান্তাহার পশ্চিম ঢাকারোড-নাটোর বাইপাস আঞ্চলিক সড়কে নওগাঁ সীমানায় সওজের রাস্তার পাশে অবস্থিত এ ‘ছ’ মিলটি। এই মিলের স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম। এই জায়গাটি মূলত বগুড়ার সান্তাহার পশ্চিম ঢাকা রোড নামেই পরিচিত। কর্তৃপক্ষ বলছেন এটা সওজের জায়গা আর শহিদুলের দাবী এই জয়াগাটা ব্যক্তিমালিকানা।
জানা যায়, শহিদুল ইসলাম তার ব্যক্তিমালিকানা আনুমানিক ৩ শতক জায়গায় গড়ে তুলেছেন একটি ‘ছ’ মিল। আর ওই মিলের সামনে সড়ক ও জনপথের প্রায় ১৫ শতক ফাঁকা জায়গা থাকায় সুযোগ নিয়েছেন তিনি। কৌশলে দখল করে গাছের গুল স্তুপ করে ফেলে রেখেছেন। চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসা। শুধু সওজের জায়গা দখল করেই থেমে নেই তিনি। নওগাঁ বন বিভাগের প্রায় অর্ধ শতাধিক গাছ কেটে রাস্তা ফাঁকা করেছেন তার মিলে যাতায়াতের জন্য। এমনও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। যা একের ভিতর দুই অপরাধ।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে সওজের জায়গা দখল করে অবাধে ব্যবসা করে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ কোন নজর না দেওয়ার কারণে তার দেখাদেখি আবার অনেকেই সড়কের আশেপাশের জায়গা দখল করে গড়ে তুলেছে ছোট-বড় বিভিন্ন রকমের দোকানসহ খাবারের হোটেল। আইনের নিয়ম নিতির তোয়াক্কা না করে নিজের পৈতৃক সম্পত্তি ভেবে অবাধে ব্যবসা বাণিজ্য করে যাচ্ছে দখলদাররা। যেন দেখার কেউ নাই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নজর না দেওয়ার কারণে সুযোগের সৎ ব্যবহার করছেন শহিদুল ইসলামসহ অন্য অবৈধ দখলদাররা। হয়তোবা আরও দখল হয়ে যেতে পারে কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপের অভাবে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জোরালো কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে দিনের পর দিন নিরব ভুমিকা থাকায় প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। ফলে সওজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সরকারের কোটি টাকার সম্পদ বেদখলেই থেকে যাচ্ছে। তাই সওজ কর্তৃপক্ষ দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নিবে এমনটাই আশা সচেতন মহলের। এছাড়া বন বিভাগের নজরদারিরও কামনা করছেন তারা।
ছ’ মিলের স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, যেখানে কাঠের গুল রাখা হয়েছে সেই জায়গাটি ব্যক্তিমালিকানা। আর বন বিভাগের একপাশে গাছ আছে আরেকপাশে গাছ কাটা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একপাশে গাছ লাগানোই হয়নি। তাছাড়া এই গাছের কমিটিতে আমরা আছি।
নওগাঁ বন বিভাগ সরজমিনে না দেখে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাইনা।
নওগাঁ সড়ক ও জনপথের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী
আহসান হাবীব বলেন, ‘ছ’ মিলের ওই সামনের জায়গা সড়ক ও জনপথের আর রাস্তার গাছগুলো বন বিভাগের। তবে শহিদুলের কতটুকু জায়গা আছে সরজমিনে তা গিয়ে দেখতে হবে। তার জায়গা ছেড়ে যদি সওজের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে তাহলে একটা নোটিশ করা হবে। তারপর নওগাঁ জেলা প্রাশাসক বরাবর লোটিশটি পাঠিয়ে দেওয়া হবে তিনি একটা আইনগত পদক্ষেপ নিবেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।