স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকার লাগানো দুটি গাড়ি থেকে ৬ মণ গাঁজাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের সদস্যরা।
মঙ্গলবার সকাল ৭ টার দিকে নাটোরের সিংড়া উপজেলার লালোর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হচ্ছে, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার কুরুশা ফেরুশা গ্রামের নূর আলিম সরকার মিলন (৩৭), একই উপজেলার ধুলারকুটি গ্রামের মোমিনুল ইসলাম (৩৬) এবং পানিমাছকুটি গ্রামের হোসাইন আহমেদ (২৩)।
মঙ্গলবার(৮ আগস্ট) ডিএনসি’র পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহা. জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল লালোর বাজার এলাকায় অভিযান চালায়।
এ সময় তল্লাশির জন্য একটি পাজেরো জিপ এবং একটি হায়েস মাইক্রোবাস থামানো হয়। দুটি গাড়িতেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকার লাগানো ছিল। তখন ওই দুই গাড়িতে তল্লাশি করে পাজেরো থেকে ১৫০ কেজি ও হায়েস মাইক্রোবাস থেকে ৯০ কেজি গাঁজাসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মোহা.জিল্লুর রহমান জানান, কুড়িগ্রাম থেকে আনা গাঁজার এই চালানটি নাটোর ও পাবনায় পৌঁছানো হতো বলে গ্রেপ্তাররা জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, মাদক কারবারিরা প্রতিনিয়ত কৌশল বদলাচ্ছে। দামি জিপ থেকে শুরু করে কার্গো ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স, পাওয়ার টিলারের মতো যানবাহন ব্যবহার করছে গাঁজা পাচারের জন্য।
এ অভিযানে গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে নূর আলিম সরকার মিলন কুড়িগ্রামের একজন শীর্ষ মাদক বিক্রেতা। লোক দেখানো ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসার আঁড়ালে মাদক ব্যবসা করে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন তিনি। হোসাইন আহমেদও মাদকের অন্যতম হোতা। মোমিনুল এ দুজনের সহযোগী। এ ঘটনায় সিংড়া থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।