ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল পরিষ্কার করতে বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে দপ্তরি কাম নৈশ্য প্রহরী প্রধান শিক্ষকের মাথায় খুন্তি দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে।
নৈশ প্রহরী দপ্তরীর আঘাতে আহত হন প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা খাতুন।
ঘটনাটি ঘটে আজ বৃহস্পতিবার ২৭ মে বিকাল বেলায়। অভিযুক্ত নাম মোঃ রকিব খান। তিনি ওই বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ্য প্রহরী।
পুলিশ ও প্রধান শিক্ষিক নিলুফা খানমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মহামারি করোনা ভাইরাস এর কারনে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অ্যাসাইমেন্ট দিচ্ছেন ও সংগ্রহ করছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দিনভর এ কাজে ব্যস্ত ছিলেন নিলুফা খানমসহ বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
দুপুরের পর শিক্ষকদের কাছে থাকা ‘ওয়াক শীট’ শেষ হয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা খানম দপ্তরী রকিবকে ফোন করে ওয়াক শীট নিয়ে যেতে বললেও রকিব এবিষয়ে কর্ণপাত করেনি। তারপর শিক্ষকরাই বিদ্যালয়ে গিয়ে ওয়াক শীট সংগ্রহ করেন।
এসময় বিকাল বেলায় রকিব বিদ্যালয়ে গেলে নিলুফা খানম রকিবকে বলেন, বিদ্যালয় পরিষ্কার করতে। এতে রকিব ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ের রকিব খান খুন্তি দিয়ে নিলুফার মাথায় আঘাত করেন। এতে নিলুফা খানম আহত হন।
এ অভিযুক্ত দপ্তরী রকিব খান মোবাইল ফোনে বলেন, আমি তাঁকে (নিলুফা খামন) মারধর করিনি। সামান্য তর্ক হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার ( ভারপ্রাপ্ত ) সালমা আক্তার বলেন, দপ্তরী নিয়োগ দেয়া হয়েছে স্কুল ও শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় কাজ করার জন্য। এ অবস্থায় স্কুলের কাজ না করে প্রধান শিক্ষককে মারধর কোনোভাবেই কাম্য নয়। অবশ্যই তদন্তপূর্বক এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষককে থানায় অভিযোগ দিতেও বলা হয়েছে।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।