চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের পর তার স্বামী শাখাওয়াত আলী নোবেল এবং তার বন্ধু ফরহাদকে গ্রেফতার করেছে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার।
তিনি জানান, সোমবার রাতে শিমুর স্বামী শাখাওয়াত আলী নোবেল এবং তার বন্ধু ফরহাদকে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে কেরানীগঞ্জ থানা সূত্র জানায়, শিমুর স্বামী জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। শিমুকে অন্য কোনো স্থানে হত্যা করে মরদেহ টুকরো করে বস্তায় ভরে কেরানীগঞ্জে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন৷
শিমুর স্বামীর ব্যবহৃত (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৩-৩৬৭৪) গাড়িটিও জব্দ করা হয়েছে। গাড়িটির ব্যাকডালায় রক্তের ছাপ পাওয়া গেছে। হত্যার পর এ গাড়িতে করেই শিমুর মরদেহটি কেরানীগঞ্জে ফেলে আসেন তার স্বামী।
নোবেল ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানার কমলাপুর গ্রামের খন্দকার আলিমুজ্জামানের ছেলে। শিমু পিরোজপুর জেলার সদর থানার সি আই পাড়ার নুরুল ইসলামের মেয়ে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।