আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের অন্যতম হোতা নদী আক্তার ইতি ওরফে জয়া আক্তার জান্নাত ওরফে নূর জাহানসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজধানীর হাতিরঝিল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২২ জুন) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ভারতে এক বাংলাদেশি তরুণীর ওপর নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর আমরা তদন্ত শুরু করি। ভারতে পাচার হওয়া এক কিশোরী দেশে ফিরে হাতিরঝিল থানায় মামলা দায়ের করে। এর পর ভারত ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে নারীপাচারের সঙ্গে নদীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।
সোমবার (২২ জুন) বিকেলে নড়াইল ও যশোর সীমান্ত এলাকা থেকে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ নগদ অর্থ জব্দ করা হয়।’ মো. শহীদুল্লাহ জানান, নদী দীর্ঘদিন ধরে ভারতসহ অন্যান্য দেশে লোভনীয় চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরী-তরুণীদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। পরে তাদের পাচার করে দেওয়া হতো। ওসব দেশে গেলে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হতো কিংবা দালালের কাছে বিক্রি করা হতো। এভাবে নদী ও তার সহযোগীরা বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ চক্রের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে নারীপাচারের সঙ্গে জড়িত অন্যদের তথ্য নেওয়া হবে। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গ্রেপ্তার হওয়া অন্যরা হলো—মো. আল আমিন হোসেন, মো. সাইফুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, পলক মন্ডল, মো. তরিকুল ইসলাম ও বিনাশ শিকদার।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।