মোঃ তাহেরুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডিমলায় জমি সংক্রান্ত পূর্ব শক্রতার জেরে প্রতিবেশীর লাথি গুড়িতে অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভপাতের অভিযোগ উঠেছে।নির্যাতিত গৃহবধূ বেবী আক্তার(২৮) উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের জোরজিগা গ্রামের ছামিদুল ইসলামের স্ত্রী।
ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ছামিদুল রবিবার দুপুরে ডিমলা থানায় ৬ জনকে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন,মফিজুল ইসলাম,শাহ আলম,শাহীন ইসলাম,মোমিনা খাতুন,রিনা আকতার,তফেল উদ্দিন।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর স্বামী ছামিদুলের সাথে প্রতিবেশী মফিজুল ইসলামের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।
এরই জেরে গত বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে ওই নারী বাড়ির সামনে উঠান পরিষ্কার করতে গেলে মফিজুলসহ তার বাড়ির অন্য সদস্যরা বাধা দেয়। উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় মফিজুল ইসলাম বেবী কে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে উপর্যুপরি মারধর করে এবং পেটে লাথি মারে।
পেটে লাথিগুড়ি মারায় বেবী আকতার মাটিতে পড়ে যায় এবং রক্তপাত ঘটে৷ এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়৷
সেখানে তিনদিন চিকিৎসা নেয়ার পরও তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।রবিবার (২৪এপ্রিল) রংপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে অন্তসত্তা বেবি আক্তার তার গর্ভের ৭ মাসের সন্তানটি মৃত প্রসব করে৷
ডিমলা থানার এসআই প্রদীপ কুমার রায় জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত চলমান।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।