আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতিয়াতি চক্রের ১২ জনকে গ্রেফতারের সংবাদ নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ।

 

এ সময় জাতিয়ালি চক্রের নিকট থেকে বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেনিং রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগের ৬টি এডমিট কার্ড , ১০০ টাকার মুল্যেমানের ৯টি ননজুডিসিয়াল ফাঁকা ষ্ট্যাম্প। বিভিন্ন ব্যাংকের ৪টি ফাঁকা চেক । প্রতারক চক্র ব্যবহৃত একটি হাইএস গাড়ি । ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয় ।

 

পুলিশ কনস্টেবল জাতিয়াতি চক্রের আটকৃতরা হল আব্দুল কুদ্দুস (৩৮) দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ধর্মপুর কৈকুরী গ্রামের ফিরোজ আলীর ছেলে ।মিশকাতুল ইসলাম (২৩) নীলফামারী জেলা সদরের বেড়াডাঙ্গা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে । রোকনুজ্জামান (৩০) ঠাকুরগাও জেলা সদরের সালান্দর কচুবাড়ী গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে । পজিরুল ইসলাম (৪৩), ঠাকুরগাও জেলা সদরের শিংপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে । সাইফুল ইসলাম রিপন (৩৫) ঠাকুরগাও জেলা সদরের জগন্নাথপুর গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে । মহসিন আলম (৩৫) , ঠাকুরগাও জেলা সদরের জগন্নাথপুর গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে। নাহিদ ইউসুফ (১৮) রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার হেলেঞ্জার সালটির হাটের নাজমুল হকের ছেলে । শাহরিয়ার সরকার (১৮) রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার সালটি পাড়ার বাটুল সরকারের ছেলে । মিস্টার রহমান (১৮), রংপুর জেলার সদরের দক্ষিন হরিদাতপুর গ্রামের কারিমুল ইসলামের ছেলে । মোহাইমেনুল (১৮) রংপুর জেলার গঙ্গাচরা উপজেলার দশভাইপাড়ার ওয়াহেদ আলীর ছেলে । মিজানুর রহমান (১৮), কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার রামধন গ্রামের মোকছেন আলীর ছেলে । রাজা মিয়া (১৮) রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ফুলচৌকি গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে ।

 

দিনাজপুর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন ,পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও ঠাকুরগাও জেলার এই জালিয়াত চক্রটি বিস্তৃত অবস্থায় অবস্থান করে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে দিনাজপুর সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাহ আল মামুনের নেতৃত্বে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন জেলা থেকে এই প্রতারক চক্রের সদস্যদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ ।

 

উল্লেখ যে গত ১১ই ফেব্রুয়ারি থেকে দিনাজপুরের পুলিশ লাইন মাঠে পুলিশে ভর্তি পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হয় । সেই পুলিশের কনস্টেবল ভর্তিও জন্য ভুয়া পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে এবং শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় । পরবর্তীতে নিজের ছবি পরিবর্তন করে লিখিত পরীক্ষাও পক্সি পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই চক্রের সদস্যদেরকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জেলা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ । আটক পক্সি পরীক্ষার্থীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই এ পর্যন্ত তিনটি মামলায় ১৭ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।