নড়াইল জেলার লোহাগড়া পৌরসভা এলাকার রামপুর গ্রামের গোপাল পরামানিকের ছেলে মিঠুন প্রমাণিকের স্ত্রী নন্দিতা(১৮) কে হত্যা করে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১ আগস্ট রবিবার ২০২১ রাত ১১টা৩০ মিনিটের সময় নন্দিতা ও তার স্বামীর মিঠুন এর সাথে কথা কাটাকাটির মধ্যে এক পর্যায়ে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়, এবং কিছুক্ষণ পর নন্দিতার ভাসুরের স্ত্রী রত্না, ও পাশের বাড়ির এক মুসলিম নারী মর্জিনা বেগম নন্দিতাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের দিকে যায়।
এসময় ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ভেঙ্গে তারা ভিতরে গিয়ে দেখে নন্দিতা ডাসার সাথে শাড়ি পেচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। এসময় ওই দুই মহিলা নন্দিতার গলার শাড়ির প্যাচ খুলিয়া লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নন্দিতা কে মারা গেছে বলে জানায়। এদিকে নিহত নন্দিতার বড় বোন রুপালী সরকার, মাতা,কবিতা সরকার, ও বাবা নিতাই সরকার সাংবাদিকদের জানায়, নন্দিতা স্বামী মিঠুন পরামানিক এর সাথে ১১ মাস আগে বিবাহ হয়। বিবাহর পর থেকে মিঠুন ও নন্দিতার মধ্যে আগেও কয়েকবার ঝামেলা হয়েছে। সেটা স্থানীয় কায়দায় পারিবারিকভাবে মীমাংসা হয়েছে।
কিন্তু রবিবারের যে ঘটনা সেটা মিঠুন তার নিজের মধ্যে রেখে আমাদের মেয়ে নন্দিতা কে মেয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে,এমনকি আমাদের কোনো খবর দেয় নাই, নন্দিতার মৃত্যুর একদিন পার হয়ে গেলে আমরা তার মরা খবর পেয়েছি। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ আবু হেনা মিলন জানান, লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানো নড়াইল সদরে পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলতেছে, এবং নিহত নন্দিতার শরিলের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে আত্মহত্যা না অন্যকিছু সেটা জানা যাবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।