নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের হামারোল গ্রামে শাশুড়ী ও ননোদের ইট ও লাঠির আঘাতে পুত্রবধূর মাথা ফেটে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা যায় দুই বছর আগে উপজেলার হামারোল গ্রামের মৃত খোসদেল খাঁন এর ছেলে আহাদ খাঁন এর সাথে বিবাহ হয় একই গ্রামের মৃত ইনজাহের খাঁন এর মেয়ে মিম খানম ২০ এর। এরপরে আহাদ খাঁন এর পরিবারে একটা মেয়ে সন্তানের জন্ম হয় তার এখন বয়স ৮ মাস, এরপর থেকেই আহাদ ও মিম এর মাঝে সৃষ্টি হয় ঝামেলার।

মিম সাংবাদিকদের বলেন আহাদ এর মা জেসমিন বেগম আমার পরিবারে কাছে যৌতুকের টাকা দাবি করে এসময় আমার মা কিছু টাকা ও মেয়ের সুখের কথা ভেবে দিয়েছেন আহাদের পরিবারকে।

মিম সাংবাদিকদের আরও বলেন আমার স্বামী ও তার পরিবারের নির্যাতনের বিষয়ে আমি এলাকার চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছে ও জানিয়েছি।

কিন্তু আজ ৫ জুন রবিবার আমার মা চেয়ারম্যান এর পরিষদে বিষয়টি বলতে গেলে কি ভাবে যানতে পারে আমার শাশুড়ী জেসমিন বেগম ও তার মেয়ে মুক্তা বেগম জানতে পেরে কোনো কিছুই না বলে আমার চুলের মধ্যে ধরে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং মুক্তা”র হাতের লাঠি দিয়ে শরিলের বিভিন্ন যায়গাই মারধর করে এ সময় আমার চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে মিম এর মাথায় ৫ টা সেলাই দেওয়া হয়েছে।

আহত মিম কান্নাজড়িত কণ্ঠে আরো বলেন আমার জীবন বাঁচানোর জন্য শাশুড়ির বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।

এবিষয়ে লক্ষীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম নূর মোহাম্মদ এর সাথে সাংবাদিকদের কথা হলে তিনি বলেন এই বিষয় টা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আমি মিল করে দেয়ার চেষ্টা করেছিলাম এর মধ্যে আজ আহাদ এর নির্দেশে তার মা ও বোন মিলে ওই মেয়েটার উপরে যে নির্যাতন করেছে এটা বলার মত নয়,আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি আর যেন কোন গৃহবধূ এরকম নির্যাতনের শিকার না হয়।

এবিষয়ে মিম এর স্বামী আহাদ খাঁন এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি ঢাকাতে থাকি মাঝে মাঝে বাড়িতে যায় বাড়ি কি নিয়ে ঝামেলা হয়েছে আমি জানিনা আর আমি কোনো দিন যৌতুক চাই নাই, এবং আমি বাড়িতে না থাকায় আমার স্ত্রী আমার বিনা হুকুমে তার বাবার বাড়ি সহ বাজারে যাতায়াত করে এই নিয়ে কিছু বললে বাবার বাড়ি থেকে সে আর আসতে চাই না।

এবিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ আবু হেনা মিলন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।