কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ফাঁকা গুলি করে আতঙ্ক সৃষ্টির পর পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী ধাওয়া করে বিদেশি পিস্তলসহ এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের শাহেদৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আটক যুবকের নাম ফাহিম। সে কুমিল্লা সদর উপজেলার ২ নম্বর উত্তর দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন মেম্বারের ছেলে বলে জানা গেছে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা দুটো মোটরসাইকেল আসা বাকি পাঁচজন বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তার সঙ্গে থাকা সোহান নামে অপর একজনকেও আটক করে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের শাহ দৌলতপুর গ্রামের মরহুম বাসার মেম্বার বাড়িসংলগ্ন সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় ঈদগাহে স্থানীয় এক মহিলার জানাজার পর চিৎকার ও হৈহুল্লোর শুনতে পায় স্থানীয়রা। এ সময় দুটি মোটর সাইকেলযোগে এসে ছয়জন অস্ত্রধারী স্থানীয় আব্দুর রহমানের ছেলে সাব্বিরকে খুঁজতে থাকে। তাকে না পেয়ে ফাঁকা গুলি করতে থাকে। পরে স্থানীয়দের ধাওয়ায় পালাতে গিয়ে ফাহিম অস্ত্র হাতে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যায়। তার সাথে থাকা বাকি পাঁচজন পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা ফাহিমকে গণধোলাই দিয়ে বুড়িচং থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশের এএসআই জহির একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করে আটককৃত ফাহিমকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়।

খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টায় বুড়িচং থানার ওসি আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় সাব্বিরের বাবা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। দুজন আটক আছে। বাকিদের আটক করেতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।