ফেনীর সোনাগাজীতে বিয়ের প্রলোভনে ১৭ বছরের এক তরুণীকে ছয় মাস ধরে ধর্ষণ করেছেন মো. কামাল উদ্দিন। সে দুই সন্তানের এক পিতা। ধর্ষণের বিচার চাওয়ায় ধর্ষিতার পিতাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন দুর্বৃত্তরা।
কামাল উদ্দিন উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের পূর্ব চরচান্দিয়া গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ফেনীর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দামন আইনে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভিস্টিগেশন ( পিবিআই) পুলিশ সুপারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন- মো. কামাল উদ্দিন, তার পিতা আবদুল খালেক, ভাই মো. রাসেল আমিন, মো. মামুন, চাচাতো ভাই পিয়াস ও রাজিবসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
ধর্ষিতার পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, কামাল উদ্দিন একই গ্রামের এক তরুণীকে বাড়ি-গাড়ি করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘ ছয় মাস ধরে ধর্ষণ করে আসছেন। এক পর্যায়ে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ধর্ষিতার পিতা স্থানীয়দের কাছে বিচার দাবি করেন। এতে কামালের পরিবারের সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
গত ২৯ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে পূর্ব চরচান্দিয়া গ্রামের কিরণের দোকানের সামনে থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষিতার পিতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেন। স্থানীয়রা তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় ধর্ষিতার পরিবার থানায় মামলা করতে সাহস পাননি।
আরও জানিয়েছেন, আসামিদের অব্যাহত হুমকির মুখে ধর্ষিতার দিনমজুর পিতা সপরিবারে একাধিক আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে পালিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এক আত্মীয়ের বাড়িতে অনেকটা গোপনে ধর্ষিতা ও তার পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়ে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও জীবনের নিরাপত্তার দাবি করেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।