বোয়ালমারী (ফরিদপুর): ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী (বিদ্রোহী) আব্দুল মান্নান মাতুব্বরের প্রধান সমন্বয়কারী পরমেশ্বরদী গ্রামের মুন্সী সিরাজুর ইসলামকে অপহরণ এবং তার নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবীর অভিযোগে বোয়ালমারী থানায় মামলা হয়েছে।
ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও ঢাকার ব্যবসায়ী মাসুদ শেখকে (৪৫) প্রধান আরও ১৫ জনের নাম উল্লেখ অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনের নামে মামলা করেন সিরাজুল ইসলাম। দুই আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে চালান করেছে থানা পুলিশ। মামলা সূত্রে জানা যায়, পরমেশ্বরদী গ্রামের মুন্সী আব্দুল বারীর ছেলে মুন্সী সিরাজুল ইসলাম (৫৫) বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মান্নান মাতুব্বরের পক্ষে জয়পাশা বাজারে কাজ শেষ করে ফেরার পথে জয়পাশা ব্রিজ পার হয়ে উত্তর পাশে পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে একই গ্রামের কাজী পাড়ার সিদ্দিক শেখের ছেলে মাসুদ শেখসহ ৫০-৬০ জনের একটি দল সিরাজ মুন্সীকে মারপিট করে ভ্যান যোগে তুলে নিয়ে কাজী পাড়া আকমলের বাড়ির সামনে একটি দোকানে খুন করার উদ্দেশ্যে আটকে রাখে এবং গালিগালাজ করে। এ সময় মাসুদ শেখ, এনায়েত শেখ ও আকমল শেখ ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং ৩দিনের ভেতরে এই টাকা পরিশোধ করার হুমকি দেয়। সাথে মান্নান মাতুব্বরের দল ছেড়ে মাসুদের দলে যোগ দিতে বলে। মাসুদের কথার বাইরে ভোট দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। মাসুদ নৌকার প্রার্থী সোলাইমান মোল্যার পক্ষে কাজ করছে। অপহরণের খবর পেয়ে এলাকার লোকজন এগিয়ে গেলে আওয়াল শেখ মোটরসাইকেল যোগে সিরাজ মুন্সীকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
এ ঘটনায় মুন্সী সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই রাতেই বোয়ালমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩৬৪/৩৮৫/৫০৬/১১৪/৩৪/ ধারায় মামলাটি নথিভূক্ত করে। মামলা নম্বর ৬। উল্লেখ্য মাসুদের শেখের নামে এর আগে থানায় পুলিশ এসল্ট ও লুটপাটের আরও দুটি মামলা রয়েছে। পুলিশ এজাহারভূক্ত ১৫ নম্বর আসামি আজাদ শেখকে (৪৫) এবং অজ্ঞাতনামার ভিতর মো. আজিজুলকে  গ্রেফতার করে আদালতে চালান করেছে। ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মাসুদ শেখ বলেন তিনি ঘটনার সময় ফরিদপুর ছিলেন। জয়পাশা ঝামেলা হচ্ছে খবর পেয়ে তিনি নৌকার প্রার্থীকে ঘটনাস্থলে পাঠান এবং আউয়াল শেখকে দিয়ে সিরাজ মুন্সীকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তিনি আরও বলেন সিরাজ মুন্সী নৌকার বিরুদ্ধে আজেবাজে কথা বলছিলেন তাই ছেলেপেলেরা তাকে আজেবাজে কথা বলতে নিষেধ করে। অপহরণ ও চাঁদা দাবির কথা তিনি অস্বীকার করেন।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলার পর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।