ঠাকুরগাঁওয়ে পরকীয়া প্রেমের টানে ভাসুরের সাথে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের হাতে আটক হয়েছে প্রেমিক যুগল।

শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার ভূল্লী থানার ১৫ নং দেবীপুর ইউনিয়নের মুজার্বনী হাজীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, মুজার্বনী হাজীপাড়া গ্রামের হকিকুল ইসলামের ছোট মেয়ে হাসি আক্তারের দেড় বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী লতাপাড়া গ্রামের ফইমদ্দীন এর পুত্র জুতা ব্যবসায়ী সেলিম এর সাথে।

বিয়ের পর থেকে সংসার ভালোই চলছিলো কিন্তু গত ৩ মাস আগে নিজ বড় ভাসুর হোটেল শ্রমিক জাকির হোসেন এর কুনজরে পরে হাসি আক্তার।

স্বামীর সাথে বনাবনি না হওয়ার সুযোগে জাকির হোসেন বিভিন্ন ভাবে ছোট ভাইয়ের বউকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসেন।

একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে পরে ভাসুরের প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হয় গৃহবধু হাসি আক্তার।

এরপর নিজ স্বামীকে ডিভোর্স দেন হাসি আক্তার।

শুক্রবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে দেবীপুরে বাবার বাড়ী থেকে গোপনে ভাসুরের সাথে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা আটক করে।

হাসি আক্তারের বাবা হকিকুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক প্রস্তাবে মেয়েটিকে বিয়ে দিয়েছিলাম। জামাই অনেক ভালো মানুষ। তার বড় ভাই একজন লম্পট। আমার মেয়ে তার রোষানলে পড়েছে। তারা আমার মেয়েকে পাচারের উদ্দেশ্যে প্রেমের নাটক সাজিয়েছে। আমি এর বিচার চাই।

গৃহবধু হাসি আক্তার বলেন, আমার ভাসুর প্রায় আমাকে ফোন দিত। ভালোমন্দ কথার বলার একপর্যায়ে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আমি প্রথমে রাজি না হলেও। একসময় রাজি হই। আমার স্বামীকে আমি ডিভোর্স দিয়েছি।

অভিযুক্ত জাকির হোসেন বলেন, আপন ছোট ভাইয়ের বউয়ের সাথে এরুপ করা আমার ঠিক হয়নি। শয়তান আমার মাথা নষ্ট করে দিয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সইমদ্দীন বলেন, এই বিষয়ে এর আগে ঝামেলা হয়েছিলো। আমরা পারিবারিক ভাবে সমাধান করে দিয়েছি। মেয়ের ভাসুর জাকির হোসেন একজন লম্পট প্রকৃতির ব্যক্তি।

এ বিষয়ে ভূল্লী থানার অফিসার ইনচার্জ একে এম আতিকুর রহমান জানান, আপন ভাসুরের সাথে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়ের ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।