তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর পৌরসভা ও ২০টি ইউপিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্য দিয়ে সকাল ৮ থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।

ভোটের আগেই জেলার রামগঞ্জ নির্বাচনী এলাকার মধ্য ভাদুর এলাকা থেকে রাত ৩টার দিকে ৩১ জনকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ আটক করা হয়। এসময় একটি এলজি, ৪টি চাপাতি, ৯টি ককটেলসহ দের্শীয় আরো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পুলিশ যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় তৎপর রয়েছে। নাশকতার চেষ্টাকালে ৩১জনকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা সহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান এসপি।

জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, অবাধ ও নিরপেক্ষ সুষ্ঠ ভোট অনুষ্ঠানে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।

এদিকে সকালে ভোট শুরুর পর থেকে কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল বেশ চোখে পড়ার মতো। নারী পুুরুষ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট চলবে।

সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ৯ প্লাটুন বিজিবি, ১৮জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, র‌্যাব, পুলিশসহ আইন শঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।

জানা যায়, লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় ২৮টি কেন্দ্রে ভোট ৭১ হাজার ৩২২ জন ভোটার তাদের ভোটারাধিকার প্রয়োগ করবেন। এখানে মেয়র পদে ৪ জন, ১৫ টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮০ জন ও মহিলা কাউন্সিলর পদে ২০জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এদিকে রায়পুরে ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও সদস্য এবং মহিলা সদস্য পদে ১১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।

রামগঞ্জ ও রায়পুরের ২০ টি ইউপিতে ১৯২ টি কেন্দ্রে ভোট শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এসব ইউনিয়নগুলোতে চেয়ারম্যান পদে ১৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এসব ইউনিয়নের প্রতিটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও শক্ত অবস্থানে রয়েছেন।
২০ ইউপিতে মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৩২২ জন। এসব ভোটাররা এখন তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচনে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের জন্য অধির অপেক্ষায় রয়েছেন।