তরিকুল ইসলাম তারেকঃ ঝিনাইদহের চাকলাপাড়ার মহিষাকুন্ডু আদিবাসী সরদার পূজা মন্দিরে ঢুকে মন্দির সহ মন্দিরে থাকা একটি প্রতিমা ভাংচুর এবং প্রতিমার গায়ে থাকা দুই (২)ভরি স্বর্ণের গহনা চুরি করিয়া নেয়। এ বিয়য়ে শ্রী চান্দু কর্মকার বাদি হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন বলে প্রতিবেদক কে জানান।
এজাহারে উল্লেখ-আমি শ্রী চান্দু কর্মকার (৩৮০, পিতা-মৃত শুকুমার কর্মকার, সাং-চাকলাপাড়া, থানা ও জেলা : ঝিনাইদহ। আমি থানায় হাজির হইয়া আসামী ১. মো: ইমতিয়াজ আহম্মেদ সোহেল ওরফে পলতে সোহেল(২৯), পিতা-মৃত শহিদুল মাষ্টার, সাং চাকলাপাড়া ২. হাসিব(২৮) পিতা- মো: হাসেম আলী, সাং চাকলাপাড়া, ৩. এারুফ(২৭) পিতা-নুরুল আমিন, সাং-মহিষাকুন্ডু,৪. রতন তালুকদার(২৫) পিতা-দেলোয়ার তালুকদার, সাং-মহিষাকুন্ডু, ৫.সজিব(৩২) পিতা-আজাদ, সাং-চাকলাপাড়া, ৬.রকেট আরিফ(২৮) পিতা-অজ্ঞাত,৭. লতা(২৮) পিতা-তোতা সাং-মহিষাকুন্ডু,৮. ডরপন(২৪) পিতা-আ: গফুর, সাং-চাকলাপাড়া। সর্ব থানা ও জেলা:ি ঝনাইদহ গণ সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার দায়ের করতিছি যে, আমি মহিষাকুন্ডু আদিবাসী সরদার পূজা মন্দির কমিটির একজন সদস্য।
পাশাপশি উক্ত মন্দিও দেখা-শুনা করি। আসামীরা সকলেই মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদক, ধর্ষণ সহ একাধিক মামলার আসামি। আসামীরা প্রতিনিয়ত সন্ধ্যার পরে মন্দিরের সামনে মাদক ক্রয়-বিক্রয় করে এবং মাদক সেবন করিয়া মাতলামী করে। গত ১৫/০৫/২০২১ইং তারিখে সন্ধ্যার পরে আসামীগণ আমাদের পাড়ার পূজা মন্দিরের সামনে পুকুরপাড়ে মাদক ক্রয়-বিক্রয় করিয়ে মহিষাকুন্ডু গ্রামের অমিত(১৯)পিতা-প্রশান্ত সরকার আসামীদের নিষেধ করিলে আসামীরা অমিতকে মারধর করে।
পরে আমি সহ এলাকার স্থানীয় লোকজন সাবেক কমিশনার তরিকুল ইসলাম তারেক এর নিকট বিচার বাদি করিলে তিনি স্থানীয়ভাবে শালিস করিয়া বিষয়টি মিমাংসা করিয়া দেন। আমি বিচার চাওয়ায় আসামীরা আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে। ১৬/০৫/২০২১ ইং তারিখে রাত অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় আমি মন্দিরের সামনে বসে থাকাবস্থায় পূর্বেও আক্রোশে উপরোক্ত আসামীগণ সহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০জন আসামীগণ দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পূজা মন্দিরে আসিয়া আমার উপর অর্তকিতভাবে হামলা করিয়া সর্ব শরিওে এলোপাতাড়ীভাবে পিটাইয়া ফোলা ও দেবনাযুক্ত যখম করে। আমি দৌড় দিয়া পালাইয়া নিজেকে রক্ষা করি।
এরপর আসামীরা পূজা মন্দিরসহ মন্দিরের ভিতর থাকা একটি মা কালি প্রতিমা ভাংচুর করিয়া অনুমান ৫০,০০০/-(পঞ্চাশ হাজার) টাকা ক্ষতি সাধন করে ও মা কালি প্রতিমার গায়ে থাকা অনুমান ২ভরি স্বর্ণের গহনা মূল্য ১,৪০,০০০/-টাকা চুরি করিয়া নেয়। পরে স্থানীয় লোকজন ছুটিয়া আসিলে আসামীরা খুন জখমের ভয়ভীতি দেখাইয়া চলিয়া যায়। সকালে ক্ষতিগ্রস্থ মন্দির পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদে জেলা হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সভাপতি নারায়ন চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদ, এসময় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সুবীর সমাদ্দার, সদর থানা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উত্তম গাঙ্গুলী, ঐক্য পরিষদের নেতা সুশান্ত সরকার, সাধন সরকার, প্রসেনজিৎ ঘোষ সিপন প্রমুখ।
এ সময় ক্ষতিগ্রস্থ মন্দির পরিদর্শনকারী বক্তারা বলেন, এই ন্যক্কার জনক কাজের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। তারা এই জঘন্য কাজের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।