মাগুরার মহম্মদপুরে দীর্ঘ ২০বছর ধরে বসত ভিটের জমি নিয়ে ভাই বোনদের মধ্যে বিরোধের জেরে জমির লিচু পাড়তে না দেওয়ায় বোন-ভাগ্নের হাতে হামলার স্বীকার হন মামা কুদ্দুস মোল্যাা (৬০)

শনিবার (৮ই মে) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে মহম্মদপুর উপজেলার রায়পুর গ্রামে।নিহত কুদ্দুস মোল্যা ওই গ্রামের মৃত ছত্তার মোল্যার ছেলে বলে জানা যায়।

এলাকা সূত্রে জানা যায়, তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে কুদ্দুস মোল্যা ও সিদ্দিকুর রহমান কম শক্তিশালি। অন্য ভাই ইদ্রিস মোল্যা ও তিন বোনের স্বামীরা প্রভাবশালি হওয়ায় তারা সবসময় ওই দুই ভাইকে ভিটেছাড়া করতে চায়। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় মারধর এবং হুমকি ধামকি চলতে থাকে। তাছাড়া আদালতে একাধিক মামলাও হয়। উপায়ান্তর না পেয়ে কুদ্দুস মোল্যা একই গ্রামে অন্যপাশে জমি কিনে বাড়ি করে বাস করতে থাকেন।

নিহতের ভাতিজা জুয়েল রানা বলেন, শুক্রবার দুপুরে ভিটে বাড়ির লিচু গাছের লিচু পাড়তে যায় কুদ্দুস মোল্যার বোন কোমেলা খাতুন। তাকে কুদ্দুস মোল্যা ও তার পরিবারের লোকজন বাধা দেই। এতে ক্ষুব্ধ হয় বোন-ভাগ্নেরা। পরে তারা ১৫/২০জন সংঘবদ্ধ হয়ে বিকাল ৪.৩০ ঘটিকার দিকে কুদ্দুস মোল্যার বাড়িতে গিয়ে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ঠেকাতে গেলে বেশ কয়েকজন আহত হয়।

গুরুতর অবস্থায় কুদ্দুস মোল্যাকে প্রথমে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ফরিদপুর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। শনিবার দুপুরে তার মৃত্যুর খবর আসে।যা পরিবার থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়। নিহতের ছেলে রাজিবও একই কথা স্বীকার করেন।

আহত হয়েছে অন্তসত্তা সুইটি সুলতানা (২৭), নাদিমা (৩২) ও জুয়েল রানা (৩০)। আহতদের মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সরেজমিনে গেলে জানা যায়, কুদ্দুস মোল্যার নিহতের খবরে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন। শিশু ও বয়ষ্ক মহিলারা বাড়ি পাহারা দিচ্ছেন।
এদিকে হামলার সাথে জড়িত ভাগ্নে মুসা একই গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে।অন্য এক ভাগ্নে ইব্রাহিম উপজেলার আড়মাঝির দাউদ ফকিরের ছেলে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব তারক বিশ্বাস বলেন, মৃত্যুর সংবাদ শুনেছি। এব্যাপারে এখনও কোন মামলা হয়নি।মামলা হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।