মোঃ শরিফ উদ্দিন, শেরপুর : শেরপুরে ধান ক্ষেতে সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় কিনের আলী (৪০) নামের এক কৃষক নিহত ও দুই জন আহত হয়েছেন।
নিহত কিনের সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের সাতপাকিয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে। গতকাল ২৬ অক্টোবর বুধবার রাতে উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের সাতপাকিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুরুতর আহতেরা হলেন সাতপাকিয়া গ্রামের উকিল সরকারের ছেলে মো. ফিরোজ মিয়া (৩৫) ও আব্দুল হাকিমের ছেলে ইদ্রিস মিয়া (৩৮)। ফিরোজ মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ইদ্রিস মিয়াকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার সকালে আমন ধান খেতে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে সাতপাকিয়া গ্রামের উকিল সরকারের ছেলে ফিরোজ মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের চান মিয়ার ছেলে মিনালের হাতাহাতি হয়। বিষয়টি নিজেদের মধ্যে আপস-মীমাংসা করার জন্য দুইপক্ষের লোকজন বুধবার রাত দশটার দিকে সাতপাকিয়া গ্রামের চান মিয়ার বাড়িতে বৈঠকে বসেন। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কিনের আলী, ফিরোজ মিয়া ও ইদ্রিস মিয়ার ওপর হামলা চালান। এতে তাঁরা গুরুতর আহত হন। পরে এলাকাবাসী তাঁদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কিনের আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।