আজাদুল বারী: নাটোর বড়াইগ্রাম বন্ধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টার সময় বন্ধুর অণ্ডকোষ চেপে ধরে ও হাতে কামড় দিয়ে প্রাণে বাঁচে আল-আমীন। তবে এ সময় বেশ কিছুটা আহত হয় সে।
এ ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া আলা-আমীন থানায় মামলা করলে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। সোমবার (৯ মে) রাত সাড়ে নয়টার দিকে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার দিয়াড়মশুরিয়া বিলে ভুট্টার জমিতে এই হত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটে।
ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত বড়াইগ্রাম উপজেলার কেঁচুয়াড়া গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর ছেলে চঞ্চল ও নলডাঙ্গা উপজেলার কোচকুড়ি গ্রামের মৃত জব্বার মৃধার ছেলে আবু রায়হান নামের দুজনকে আটক করে পুলিশ।
এবিষয়ে আল আমীন জানায়, তার পুর্ব পরিচিত চঞ্চলের কথায় বিকাল ৪ টার পর থেকে চঞ্চল ও তার পরিচিত আবু রায়হানকে সাথে নিয়ে নাটোরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করে। রাত আটটার দিকে ইয়াছিনপুর স্টেশনের অদুরে বাগাতিপাড়া উপজেলার দিয়াড়মশুরিয়া বিলে ভুট্টার জমিতে তাকে নিয়ে যায়। সেখাইেন দুজনে মিলে আল আমীনের মুখে কসটেপ লাগানোর চেষ্টা করে। এ সময় তিন জনের মধ্যে ধস্তা ধস্তির হয়।
এরই এক পর্যায়ে আলা-আমীনের গলাটিপে হত্যার চেষ্টা করে ওই দুই বন্ধু। এ সময় আল আমীন চঞ্চল এর হাতে কামড় দেয় এবং অন্ডকোষ চেপে ধরে দৌড়ে পালিয়ে স্থানীয়দের সহযোগীতায় প্রানে বাঁচে।
পরে স্থানীয় থানা পুলিশ কে খবর দেন স্থানীয়রা। বুধবার (১১ মে) সকালে বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুর ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে রাতে ঘটনা স্থল থেকে আল-আমীনকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
এর পর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন ও চশমার সুত্র ধরে ঘটনার ৫ ঘন্টার মধ্যে স্থানয়িদেরা সহযোগীতায় আল আমীন এর প্রতিবেশি ও বন্ধু বড়াইগ্রাম উপজেলার চঞ্চল ও নলডাঙ্গা উপজেলার আবু রায়হান নামের দুজনকে আটক করা হয়।
হত্যার চেষ্টার ঘটনার সাথে আটককৃত দুজনের জড়িত থাকার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে কেন এই হত্যা কান্ডের চেষ্টা করা হয়েছে, বন্ধুত্ব না পারিবারিক কোন বিষয় তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আল-আমীনের দায়েরকৃত অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহন করে আটকৃত দুজনকে মঙ্গলবার (১০ মে) বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।