বরগুনা সদর উপজেলার এম. বালিয়াতলী ইউনিয়নে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেড়ে ষাটোর্ধ বৃদ্ধ ও তার যুবতী ভাতিজিকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।

রবিবার (১৭জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এম. বালিয়াতলী ইউনিয়নের রক্ষাচন্ডী গ্রামে আহতের বাড়ির সামনে রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। আহত চাচা ভাতিজি বর্তমানে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে হাটার জন্য পথের জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিবেশী করিমের ছেলে জাকিরের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এবিষয় নিয়ে বরগুনা আদালতে একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে। ঘটনার সময় আহত মন্নান বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার সময় প্রতিবেশী জাকিরের ছেলে নাঈম, করিমের ছেলে জাকির,

মোছনদ্দি এর ছেলে হাতেম ও কালামের ছেলে বেল্লাল জমি নিয়ে পূর্ববর্তী বিরোধের জেড় ধরে হঠাৎ করে পিছন থেকে এসে ভুক্তভোগী মন্নানের গতিরোধ করে এলোপাতাড়িভাবে মারধর শুরু করে। এসময় প্রতিপক্ষের মারধরে ডানহাতে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে জোড়ে ডাক চিৎকার দিলে ভাতিজি ফাতেমা চাচাকে বাঁচাতে দৌড়ে আসলে অভিযুক্ত নাঈম,

জাকির,হাতেম ও বেল্লাল ভাতিজি ফাতেমাকেও এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তার(ফাতেমার) মাথার উপরিভাগে আঘাত করে। এসময় চাচা-ভাতিজির ডাকচিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে এসে অভিযুক্তদের বাঁধা প্রধান করলে তারা চলে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে রাতেই বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

আহতের পুত্রবধু আখি বেগম বলেন, আমাদের হাটার পথের জায়গা নিয়ে অভিযুক্তদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিলো। এই বিরোধের জেড় ধরে আমাকে সহ আমার শশুড় ও ননদকে বেশ কয়েকবার মারধর করেছে তারা। এ নিয়ে বরগুনা আদালতে আমরা আরো তিনটি মামলা করেছি।

আহতের নাতী আট বছরের শিশু মুসা বলেন, ওরা এর আগেও আমার মা, দাদু ও ফুফুকে মারধর করেছে। কালকেও আমার দাদু ও ফুফুকে মারছে। আমি এর বিচার চাই। আহত ফতেমা বেগম বলেন, এর আগেও আমিসহ আমার চাচা ও আমার চাচাত ভাইয়ের বৌকে বেশ কয়েকবার মারধর করছে, আমরা কোন বিচার পাইতেছি না।

অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে তাদের না পাওয়ার কারনে এবিষয় নিয়ে তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহম্মেদ বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত বরগুনা থানায় কোন অভিযোগ পাইনি, তবে অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।