রাজশাহীর বাগমারা থানায় বিকাশ প্রতারণার মামলাকে পুঁজি করে উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল-ইমরানের ধারাবাহিক চাঁদাবাজি ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভুগী আরাফাত সাইদ।
আরাফাত বাঘা উপজেলার বলিহার (হাজিপাড়া) গ্রামের আফতাব হোসেনের ছেলে।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ১২.৩০ টায় রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী আরাফাত তার লিখিত বক্তব্যে জানান,আমি একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী।বর্তমানে আমার পরীক্ষা চলছে।গত ১০ জানুয়ারি ২০২২ সালে বাগমারা থানায় ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অজ্ঞাত আসামী উল্লেখ করে একটি প্রতারণার মামলা রুজু হয়।যার মামলা নং ১০/২২।পরবর্তীতে সেই মামলায় তদন্তপুর্বক কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে আসামি করে থানা পুলিশ।যাদের অনেকের বাড়ি আমার এলাকায়।আসামীর বাড়ি আমার বাড়ির পাশে এবং সমবয়সী হওয়াতে উক্ত মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আল-ইমরান সেই আসামীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সেই জায়গায় আমাকে আসামি করবে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে ভয় ভিতি প্রদর্শন করছেন।এছাড়াও পর পর ২ দিন মাঝরাতে আমার বাড়িতে এসে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং মোটা অংকের টাকা দাবি করে।টাকা না দিলে আমাকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়।এসআই আল ইমরান ইতোমধ্যে আমার এক পরিচিতের মাধ্যমে বলেন,দাবিকৃত টাকা না দিলে আমার এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার আগেই গ্রেফতার করবেন।মামলার এজাহারে নাম না থাকলেও গ্রেফতারকৃত আসামীদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নিয়ে আমাকে যেকোন সময় আটক করতে পারবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।তিনি আরও বলেন, আমার নামে দেশের কোথাও কোন মামলাও নাই।তারপরও বাগমারা থানার এসআই আল-ইমরান আমার পরিবারের কাছ থেকে বারবার ফোন দিয়ে এডিশনাল এসপি এবং বাগমারা থানার ওসি সহ ৩ জন কর্মকর্তাকে দেয়ার কথা বলে টাকা দাবি করছেন।
সর্বশেষ ২৬ নভেম্বর রাত ১০ টা দিকে এসআই আল ইমরানের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার (০১৭৫২৪০৪৬১২) থেকে আমার শশুর আসাদুল ইসলামের (০১৮১৬৭০০১৮৩) নাম্বারে ফোন করে ৪০ হাজার টাকা ফোনে বিকাশের মাধ্যমে চান।টাকা না দিলে উক্ত মামলায় আমার নাম ঢুকিয়ে দিবে বলে হুমকি দিচ্ছে এবং পরীক্ষা বানচালের চেষ্টা করছেন।আমার পরীক্ষা বাতিলসহ নানা ভয়ভীতির কারণে পরিবারের লোকজন খুব চিন্তিত।
এমতাবস্থায় আপনাদের মাধ্যমে আমার পরিবারের নিরাপত্তা,সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা প্রদান ও দোষি এসআই এর সুবিচার প্রার্থনাসহ শাস্তি কামনা করছি।
উল্লেখ্য,উক্ত মামলার বাদী বাগমারা উপজেলার ঝিকড়া (কুদাপাড়া) গ্রামের মকছেদ আলীর স্ত্রী মোঃ বেদেনা বিবি (৩০)।
পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই মামলা সকল আসামীদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আল ইমরান।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত এস আই আল ইমরান বলেন,সংবাদ সম্মেলন হলে তো আমার আর বক্তব্য দেওয়ার কিছুই নাই।পরে আপনাদের সঙ্গে দেখা করে কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত এস আইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।বরখাস্ত এস আইকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।