নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চাচই ধানাইড় গ্ৰামে জমি সংক্রান্ত ঝামেলা নিয়ে   বিল্লাল হোসেন এর ৭ মাসের গর্ভবতী স্ত্রী মিতা বেগম (৩০) কে বেধড়ক মারপিট করে গর্ভের ভ্রুণ নষ্ট করার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে, এঘটনায় ওই গর্ভবতী নারী লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
আহত মিতা বেগম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন আমার স্বামী ও ভাসুরের সাথে জমিজমা নিয়ে বছর খানেক আগে থেকে একটু ঝামেলা চলে আসছে, এরপরে থানা পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন মিলে জমি মেপে সবার সিমানা দিয়ে দেয়, আমার স্বামীর ভাগের জমিতে আমি কাজ করতে গেলে আমার ভাসুর ও তার ছেলে বউ মিলে আমাকে অকথ্য গালিগালাজ করে।
এরপরে ১৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭,৩০ মিনিটের সময় আমার স্বামী বাড়ি থেকে সিডি বাজারে গেলে ভাসুর নজরুল এর হুকুমে  ইদ্রিস শেখ, মেয়ে শান্তা, নজরুল শেখ, স্ত্রী শিউলি, ইব্রাহিম ও ইদ্রিস শেখ এর ছেলে হায়দার মিলে এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে,এ সময় ভাসুর নজরুলের হুকুমে তার স্ত্রী আমার চুলের মুঠি ধরে আমার তলপেটে লাথি মারে এবং অন্য সকলে মিলে আমাকে বেধড়ক মারধর করে।
এ সময় আমার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।   
মিতা বেগম এর স্বামী বিল্লাল শেখ বলেন আমার স্ত্রীর উপর আমার আপন ভাই ভাবী ভাইয়ের ছেলে ও মেয়ে মিলে মারধর করেছে, পূর্বে ও তারা জোট বেঁধে আমার  স্ত্রী কে মারধর করেছে। তখন আমি লোহাগড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলাম।
আজ আবার আমার স্ত্রীকে মারধর করেছে। আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করে থানা পুলিশ কে বিষয় টি জানাই, পুলিশ আমাকে সকালে থানায় আসতে বলেছে। আমি আইনের কাছে এর ন্যায় বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ আবু হেনা মিলন এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন ঘটনা শুনেছি লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।