মোঃইমরান হোসেন, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নের দুর্গানগর (দরবেশনগর)গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিন মজুর আব্দুল জলিল সাজু (২২)কে লোহার রড দিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। গুরুতর আহত আব্দুল জলিল সাজু সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুমুর্ষ অবস্থায় ৬দিন যাবৎ চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ সংবাদ পরিবেশন পর্যন্ত তার অবস্থার অবনতি না হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ রেফার্ড করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা জয়নব বিবি বাদী হয়ে ৪জনের নাম উল্লেখ করে একই গ্রামের নুর উল্ল্যা মিয়া (৪০), ইকবাল মিয়া (৩০), নজরুল মিয়া (২০), সাইফুল মিয়া (২৫) কে আসামী করে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা (নং- ২০, তারিখঃ ১৬/১২/২০২২ইং) দায়ের করেছেন। জানা গেছে- গত ১৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় ভুক্তভোগীর বাড়ীর উঠানে ঘটনাকারীরা মেশিন দিয়ে ধান মাড়াইয়ের জন্য আসে। ভাঙ্গানোর ১০ টুকরি ধান এর মধ্যে ৪ টুকরি ধান তাদেরকে দেওয়ার জন্য বলে।
আব্দুল জলিল সাজু তার কথা না শুনে তাকে ৩ টুকরি ধান দিতে সম্মতি জানান। এ সময় হামলাকারী নুর উল্ল্যা মিয়াগংরা চরম উত্তেজিত হয়ে এলোপাতাড়িভাবে হামলা করেন। ধান ভাঙ্গানোর মেশিনের লোহার হেন্ডেল দিয়ে আব্দুল জলিল সাজু এর মাথা লক্ষ করে প্রাণে হত্যার উদ্যোশে বারি মারেন। লোহার হেন্ডেল এর বারির আঘাতে তিনি মাটিতে লুটে পরেন। স্থানীয় লোকজন তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ব্যপারে জানতে চাইলে ভুক্তভোগীর মা জয়নব বিবি, আব্দুল খালিক, সিরাজ মিযা, মনোয়ারা বেগম, হাবিব মিয়াসহ এলাকার একাধিক লোকজন জানান- হামলাকারী নুর উল্ল্যা মিয়া এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন।
ইন্ডিয়ার লোকজনদের সাথে ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে। সে যে কোন সময় ভারতে পালিয়ে যেতে পারে। তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। এর আগেও তার বিরুদ্ধে একাধিক জঘন্যতম ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ভুক্তভোগী পরিবারকে সকল আইনী সহায়তার আশ্রাস প্রদান করেছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।