কিশোরগঞ্জের হাওড় উপজেলা মিঠামইনে এক নারী মেডিকেল অফিসারকে ইভটিজিংয়ের অভিযোগে পাঁচ তরুণকে জেলে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে গঠিত ভ্রাম্যমাণ আদালত শনিবার রাতে তাদের এ দণ্ড দেন। পরে রোববার দুপুরে তাদের কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে তরিকুল (২০), বিল্লাল মিয়ার ছেলে ইমন (১৮), দুলাল মিয়ার ছেলে রাতুল মিয়া (১৯), আমির হোসেনের ছেলে নয়ন (১৯) ও শামীম মিয়ার ছেলে উৎসব (১৯)। এর আগে মিঠামইন থানা পুলিশের একটি দল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এ ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশের সহায়তায় কিশোরদের আটক করে দণ্ডাদেশ প্রদান করে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ডক্টরস কমিউনিটি এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী মেডিকেল অফিসার জরুরি বিভাগ থেকে ডিউটি শেষে উপজেলা পরিষদের আবাসিক এলাকার বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় তরুণরা পথরোধ করে ওই মেডিকেল অফিসারকে ইভটিজিং করে।
এ ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল সাফী মিঠামইন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শনিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রত্যেক ইভটিজারকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড প্রদান করেন।
মিঠামইন থানার ওসি কলিন্দ্র নাথ গোলদার জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল সাফী এ ঘটনার পর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আর এ অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মুখোমুখি করা হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।