লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ফিল্মি স্টাইলে ভাই চাচাকে কুপিয়ে প্রধান শিক্ষককে উঠিয়ে নিয়ে গুম করার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার(৬ জানুয়ারি) দুপুরে প্রধান শিক্ষকের সন্ধান চেয়ে আদিতমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন প্রধান শিক্ষকের ছেলে আব্দুর রউফ।
গুম শিক্ষক নুর আমিন(৫০) উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। তিনি দোলাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
আহতরা হলেন, তার ভাই নামুড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিন(৪৫) ও তার চাচা পল্লি চিকিৎসক আবু তালেব(৬০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন প্রধান শিক্ষক নুর আমিন। ভোর রাতে কালো গ্লাসের দুইটি মাইক্রোতে কয়েকজন গিয়ে গেটে নক করেন। এ সময় ঘুমন্ত থাকায় কেউ গেট খুলেনি। পরে প্রাচির টপকে ভিতরে প্রবেশ করে দরজা ভেঙ্গে প্রথমে নুর আমিনের ছোট ভাই রুহুল আমিনের ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্র দেখি পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে তাকে টেনে হেচড়ে বেড় করে। চিৎকার চেচামেচি শুনে নুর আমিন বের হলে তার ভাইকে ছেড়ে দিয়ে নুর আমিনকে টেনে হেচড়ে গাড়িতে তুলে।
এ সময় তার চাচা আবু তালেব ও ছোট ভাই রুহুল আমিন গাড়ির সামনে দাড়িয়ে আটকের চেষ্টা করলে অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে কুপিয়ে নুর আমিনকে নিয়ে চম্পট দেয় অপহরনকারী চক্রটি। সেই থেকে কোন সন্ধান মেলেনি অপহৃত প্রধান শিক্ষক নুর আমিনের।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহত আবু তালেব ও রুহুল আমিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় গুম প্রধান শিক্ষক নুর আমিনের সন্ধান চেয়ে অজ্ঞাত চক্রের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন তার ছেলে আব্দুর রউফ।
আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোক্তারুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশ এভাবে কাউকে তুলে নেয় না এবং নেয়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে পরে জানাবেন বলেও জানান তিনি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।