মোঃ আজিজুর বিশ্বাস, স্টাফ রিপোর্টার নড়াইল:  কাশিপুর ইউনিয়ন ঘুরে জানা যায়, জন্ম নিবন্ধন নতুন করতে ও ভুল সংশোধন করতে হয়রানির স্বীকার হচ্ছে ইউনিয়ন বাসী। যে সকল আবেদনকারী শুধু সরকার নির্ধারিত টাকা দিচ্ছে তাদের সাথে নয় ছয় করছে সচিব,

যারা নির্ধারিত টাকার থেকে বেশি টাকা দিচ্ছে তাদের ২/৩ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করে দিচ্ছেন এমনটি অভিযোগ পাওয়া গেছে সচিবের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভুগি রামেশ্বরপুর গ্রামের রাজ্জাক বিশ্বাসের ছেলে উসমান বিশ্বাস তিনটি জন্ম নিবন্ধনের জন্য সচিব মুশফিকুর রহমানকে ১৫ শত টাকা দিয়ে ২ দিনের মধ্যে করে নিয়েছেন। আরেক ভুক্তভোগী ভাটগাতি গ্রামের তবিবর বিশ্বাসের ছেলে বাবুল বিশ্বাস ৪ টি জন্ম নিবন্ধের জন্য ৮ শত টাকা সচিবকে দিয়েছেন,

এবং অনলাইনে আবেদন করার জন্য পরিষদে কর্মরত ববিতা কে দিয়েছেন ৬শত টাকা ৩/৪ মাস ঘুরতেছেন এখন ও পাননি জন্ম নিবন্ধন কার্ড। বাবুৃল বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন ওই জন্ম নিবন্ধন করার জন্য যে কয় বার বোর্ড অফিসে গিয়েছি তাতে আমার দুইশত টাকার বেশি ভ্যান ভাড়া লেগেছে।

এছাড়াও রামেশ্বরপুর গ্রামের আফজাল শেখ এর তিন ছেলের স্ত্রীরা তাদের পরিবারের জন্ম নিবন্ধন করতে গেলে সচিব তাদের বলেন যে আপনারা ইব্রাহিম এর দোকানে জান, টাকা সব ওখানে দিবেন,

এর পর ওই মহিলারা কার্ড আনতে গেলে সচিবের সাথে ঝাগড়া শুরু হয়, শালবরাত গ্রামের মিজান সরকারি সদস্য সে তার পরিবারের লোকের জন্ম নিবন্ধন কার্ডের ভুল সংশোধন করতে গেলে সচিব তার কাছে ৫শত টাকা দাবি করেন,তখন মিজান ৩শত টাকা দিতে রাজি হয়,

সচিব তাকে বলেন সার্ভার পবলেম পরে আসেন,মিজান তখন আরেক জনের নিকট থেকে ধার করে ৫শত টাকা দিলে সেই কাজ সচিব ৫ মিনিটে করে দেয়। গিলাতলা গ্রামের কিবরিয়া শেখ এর ছেলে রাজু শেখ তার ও বাবা মায়ের জন্ম নিবন্ধন করতে গিয়ে সচিবের পিছনে ঘুরতেই আছে।

এছাড়াও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে সচিব এসএম মুশফিকুর রহমানের নামে, এবিষয়ে সচিব এর সাথে কথা বললে তিনি সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করেন।

এবিষয়ে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোঃ মতিয়ার রহমান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন সচিবের বিরুদ্ধে এর আগে ও অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে,ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।