কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধি: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মারধরে সাদ্দাম হোসেন নামে (২৫) এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সে পুটিমারী ইউনিয়নের ছাদুরারপুল মাঝাপাড়া গ্রামের এয়াকুব আলীর ছেলে।

নিহতের বড়বোন জামাই মাজেদুল ইসলাম ও ভাবি সাদেকা বেগম জানায়, সাদ্দামের স্ত্রী রুবাইয়া আক্তার পারিবারিক কলহে মঙ্গলবার সকালে তার বাবার বাড়ি একই ইউনিয়নের কাচারী পাড়ায় যান।

স্ত্রীকে বাড়িতে ফিরে আনার জন্য সাদ্দাম হোসেন রাতে তার শ্বশুর লুৎফর রহমানের বাড়িতে যান। অন্তসত্ত্বা মেয়ে রুবাইকে পাঠিয়ে দিবেন না মর্মে শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও শ্যালোকের সঙ্গে সাদ্দামের বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে তাকে মারধর করে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখেন।

খবর পেয়ে তার বোন জামাই মাজেদুল স্থানীয় মেম্বর-চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। পরে নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তাদের স্বাক্ষর নিয়ে ভোর রাতে জামাতা সাদ্দামকে ছেড়ে দেন। বাড়িতে এসে সাদ্দাম গুরুত্বর অসুস্থ্য হলে স্বজনরা প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করেন।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় সেখানে তার মৃত্যু হয়। জামাতার মৃতুর খবর শুনে রাতেই তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও স্ত্রী রুবাইয়া গা ঢাকা দেন।

এব্যাপারে পুটিমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সায়েম লিটন স্ট্যামে স্বাক্ষর দিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে সাদ্দামকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আমার সামনে তাকে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে রাখা ও মারধরের ঘটনা ঘটেনি।

এর আগে তাকে মারধর করেছে কি-না জানিনা। কিশোরগঞ্জ থানার ওসি রাজীব কুমার রায় জানান, এঘটনায় এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।