জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বসতবাড়ির জমি লিখে না দেওয়ায় বৃদ্ধ বাবা-মাকে মারধর ও বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছেলে-মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বাবা হাবিবুর রহমান রবিবার (৮ আগস্ট) বিকেলে মেয়ে রত্না বেগমসহ জামাতা ও ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। সন্তানদের ভয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন বাবা-মা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী জামালপুর সদর উপজেলার হাসিল বটতলা টকনি এলাকায় নিজ বসতবাড়িতে স্ত্রী-সন্তানসহ বসবাস করে আসছিলেন হাবিবুর রহমান। হাবিবুর রহমানের চার মেয়ে ও এক ছেলে। ছেলে-মেয়েরা কেউ তাদের ভরণ-পোষণ ও দেখভাল করে না। হাবিবুর রহমান বৃদ্ধ বয়সে স্ত্রীকে নিয়ে অতি কষ্টে জীবনযাপন করে আসছেন। বসতভিটার আট শতাংশ জমি শেষ সম্বল হাবিবুর রহমানের। এদিকে ওই বসতভিটার আট শতাংশ জমি ছেলে-মেয়েদের নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার জন্য জোর পাঁয়তারা চালায় সন্তানরা।
জমি লিখে না দেওয়ায় অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে আসছে তিন মেয়ে, এক ছেলে ও দুই মেয়ের জামাতা। ছেলে-মেয়েদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক মাস আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন হাবিবুর ও তার স্ত্রী। পরে তারা সরিষাবাড়ী পৌর এলাকার বাউসী বাজার এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। হঠাৎ দুই দিন আগে হাবিবুর রহমানের বড় মেয়ে রত্না বেগম বাড়ি লিখে দিতে হবে না বলে কৌশলে বাবা-মাকে ভাড়াবাড়ি ছাড়িয়ে দিয়ে হাসিল বটতলা নিজের বাড়ি নিয়ে যায়। বাড়িতে নিয়ে হাবিবুর রহমানের মেয়ে রত্না বেগম, শিফা খাতুন, রিক্তা খাতুন, ছেলে বিল্লাল হোসেন এবং মেয়ের জামাই ইব্রাহীম ও গোলাম মোস্তফা ফের জোরপূর্বক জমি লেখে নেওয়ার চেষ্টা চালায়।
এত হাবিবুর রাজি না হলে তাদের মারধর করে। এ ঘটনায় হাবিবুর রহমান ও তার স্ত্রী রবিবার সকালে বাড়ি থেকে চলে আসেন। বাড়ির বসতভিটা রক্ষার্থে ওই দিন বিকেলে সরিষাবাড়ী থানায় বড় মেয়ে রত্না বেগমকে প্রধান আসামি করে শিফা খাতুন, রিক্তা খাতুন, ছেলে বিল্লাল হোসেন এবং মেয়ের জামাই ইব্রাহীম ও গোলাম মোস্তফাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। হাবিবুর রহমানের বড় মেয়ে রত্না বেগম সরিষাবাড়ী পৌরসভার সামর্থ্যবাড়ী গ্রামের রেজাউল হকের স্ত্রী।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।